সিমের তথ্য যাচাইয়ে পিছিয়ে সরকারি চাকরিজীবীরা

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বা আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মোবাইল সিম ও রিম কার্ডের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন না সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রী-এমপিদের জন্য বিশেষ সেবা চালু হলেও প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ অন্যান্য দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য যাচাইয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ফলে গ্রাহকের সিমের তথ্য যাচাইয়ের সরকারি এই উদ্যোগে পিছিয়ে রয়েছেন খোদ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই।

তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বলছেন, এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে সরকার।

মোবাইল সিমের অবৈধ ব্যবহারের মাধ্যমে বেআইনি কার্যকলাপ রোধে নতুন সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি চালু করে সরকার। একই সঙ্গে পুরাতন সিমগুলোর ক্ষেত্রেও গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে তথ্য যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সারা দেশে ছয়টি মোবাইল অপারেটর তাদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার এবং রিটেইলারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সেবা চালু করেছে।

কাস্টমার কেয়ার সেন্টার এবং রিটেইলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির জন্য সরকারি লোকদের আগ্রহ কম।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে মন্ত্রী-এমপিদের সিম-রিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্পিকার নিজের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধনের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ওই প্রক্রিয়ায় বেশ সাড়া পাওয়া যায় সংসদে, ২৮ ফব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনে ১৪৫ এমপি সিম পুনঃনিবন্ধন করেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের ১ হাজার ৩শ’ গ্রাহকের মধ্যে ১৫/২০ জন এমপি; গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৮শ’ গ্রাহকের মধ্যে এমপি ৮৫ জন, বাংলালিংকের ১ হাজার সিমের মধ্যে ২০ জন এমপি পুনঃনিবন্ধন করেছেন। রবি’র ৫শ’ গ্রাহকের মধ্যে ৫ জন এমপি, এয়ারটেলের ৪৪৪ জনের মধ্যে এমপি ১৫ জন এবং সিটিসেলের ৩০ জন সাধারণ গ্রাহক সংসদে সিম পুনঃনিবন্ধন করেছেন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে।

জাতীয় সংসদ ভবনের প্রক্রিয়ার মতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যও বিশেষ করে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ করা হলে সাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সচিবালয়ে সীমানার মধ্যে থাকা ৩৮টি মন্ত্রণালয়ে প্রায় সাত হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন।

একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ব্যস্ততার কারণে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজের সিমগুলোর তথ্য যাচাই করতে পারছেন না তারা। এছাড়াও কারও কারও অনীহা রয়েছে। হাতের কাছে ব্যবস্থা থাকলে সবাই করে নিতে পারবেন।

সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের নিচে বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ফোনস) অফিসে টেলিটক রিচার্জ পয়েন্টে একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা চালু করা হয়নি।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডাক ও টেলিযোগোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, তারা সব অপারেটরের গ্রাহকদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নেবেন।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এক-দুই সপ্তাহের জন্য সচিবালয়ে চালু করা যায় কিনা- সে ব্যাপারে কথা বলবেন।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে পুরাতন গ্রাহকদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য যাচাইয়ের এই প্রক্রিয়া শেষ করার কথা রয়েছে।

বিটিআরসি’র সর্বশেষ জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫