হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় তিন মাসের মধ্যেই

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা : প্রথাবিরোধী লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় আগামী তিন মাসের মধ্যে হতে পারে। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হন ড. হুমায়ুন আজাদ। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানি গিয়ে মারা যান তিনি।

মৃত্যুর এক যুগ পর খ্যাতনামা এ লেখক হত্যার বিচারের রায় আগামী তিন মাসের মধ্যে হতে পারে বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী এবিএম বশির উদ্দিন মিয়া। এ ব্যাপারে বাংলামেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মামলার কার্যক্রম শেষের দিকে। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমানকে আসামি পক্ষের জেরা শেষ হবে বলে আশা করছি। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ হলে সাক্ষী ক্লোজ করা হবে। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্যের সুযোগ দেয়া হবে। এর পরপরই ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রুহুল আমিন রায়ের দিন ধার্য করবেন।’

কবে নাগাদ রায় হতে পারে- এমন প্রশ্নে ওই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলতে পারবো না। তবে মামলার কার্যক্রম যেহেতু শেষের দিকে সেহেতু খুব তাড়াতাড়িই রায় হবে।’ তিন মাসের মধ্যে আশা করা যায় কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে এবিএম বশির উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমি আশাবাদী।’

তিনি জানান, আদালতে সাক্ষীর জবানবন্দি প্রদান শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে আংশিক জেরা করেন। জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ১১ মার্চ সাক্ষীকে অবশিষ্ট জেরার জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।

সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিই মামলাটি তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ৫ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- জেএমবির সূরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। এদের মধ্যে আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক আছেন।

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রিজনভ্যান থেকে এ মামলার ২ আসামি সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে এদের মধ্যে রাকিব ওইদিন রাতেই ধরা পড়ে এবং পরে ক্রস ফায়ারে মারা যায়।

মামলায় মোট ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সর্বশেষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা চলমান রয়েছে।

এ মামলার উল্লেখ্যযোগ্য সাক্ষ্যদাতারা হলেন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির, আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকালীন এলএলবি অনার্সের ছাত্র অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুর রহমান আশিক, ড. হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লতিফা, কবি মোহন রায়হান ও কবি সাংবাদিক নাসির আহমেদ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বই মেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা একডেমির উল্টোদিকে ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হন লেখক হুমায়ূন আজাদ। এ হামলায় পর তিনি ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। ওই বছরের ১২ আগস্ট তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
272829  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫