বিনোদন ডেস্ক ॥
ঢাকা: জনপ্রিয় সংগীত তারকা পড়শী ও তার ব্যান্ড বর্ণমালা নাটোরের বড়াইগ্রামে নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণে সেখানকার পৌরসভা মাঠে এক কনসার্টে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তার ব্যবহার ও গায়কীতে অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তবে বর্ণমালা ব্যান্ড ও পড়শীর ভাই ঘটনাটিকে অস্বীকার করে বলেছেন, আয়োজকদের ব্যর্থতার কারণে মঞ্চে থেকে পড়শী নিজেই নেমে গেছেন।
আয়োজকরা জানায়, কনসার্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টায়। পড়শী বিকেল ৪টায় সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাত ৮টায় মঞ্চে ওঠার কথা থাকলেও তিনি স্টেজে ওঠেন রাত ১০টার পর। তাকে স্টেজে দেখেই শ্রোতারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কোনো রকমে গান শুরু করলেও দর্শকদের মন রক্ষা করতে পারেননি।
এক প্রতক্ষদর্শী অভিযোগ করে জানান, পড়শী স্টেজে পাঁচটি গান করেন। কিন্তু শুরু থেকেই তার অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত শ্রোতারা তাকে নেমে যেতে বলেন। সেইসঙ্গে পড়শীর তাল-সুরের কোনোই মিল ছিল না গানে। ফলে দর্শক-শ্রোতারা ক্ষেপে যায়। পড়শীও তখন উল্টো ক্ষেপে যান।
তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘আমি কি নর্তকী না বাঈজি যে নেচে নেচে আপনাদের মন ভরাব। আমি গান করতে এসেছি। শুনতে ভালো না লাগলে চলে যান’! তখন উপস্থিথিরা ভীষণ ক্ষেপে যান। একপর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহয়তায় কোনোরকমে পড়শী স্টেজ ছাড়তে বাধ্য হন।’
তিনি আরো বলেন, ‘পড়শী নেমে গেলেও পরিস্থিতি ছিলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র বারেক সরদার উত্তেজিত দর্শকদের শান্ত করতে না পেরে নিজেই স্থান ত্যাগ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহি অফিসার এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তারা দর্শক-শ্রোতাদের কথা দিতে বাধ্য হন- বড়াইগ্রামে আর কখনো পড়শীকে গান গাইতে আনা হবে না।’
তবে পড়শীর ভাই সাক্ষর জানান, আয়োজকরা এত বড় একটা প্রোগ্রাম আয়োজন করেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সেখানে ইলেকট্রিসিটির সাপ্লাই নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে ড্রামে একটা আঘাত করতেই ইলেকট্রিসিটি ডাউন হয়ে যাচ্ছিল। আমাদের জন্য এই অবস্থায় প্রোগ্রাম কনটিনিউ করা সম্ভব হচ্ছিল না। কেন না আমাদের ইন্সট্রুমেন্টগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আমরা বারবার অনুরোধ করেও তাদের সহযোগিতা পাইনি, ফলে বাধ্য হয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যাই।
এ প্রসঙ্গে মেয়র বারেক সরদার জানান, ‘গতকাল রাতে যা ঘটে গেল সেটি সত্যি দুঃখজনক। পড়শীর অনেক ভুল ছিলো। বিশেষ করে দর্শকদের সঙ্গে তার ব্যবহার ছিলো হতাশাজনক। তারকাদের কাছে কেউ এমন আচরণ আশা করে না।’
এদিকে এ ঘটনার পর বিস্তারিত জানার জন্য পড়শীর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। একইসাথে পড়শীর ফেরিভায়েড ফেসবুক, ফ্যান পেজ সবকিছু ডি-অ্যাক্টিভ করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে সংগীতাঙ্গনে।