ঝিনাইদহের নগগঙ্গা নদীর ভাসমান অসংখ্য সাদা সাদা কৃত্রিম থালার বর্জ্য অপসারন ও পুড়িয়ে ভস্মিভুত !

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥
প্রকৃতির ধমনী নদী। আর নদীর জল প্রবাহের মাধ্যমেই প্রকৃতিতে ‘জীবন’ প্রবাহমান। তাই মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে নদী প্রবাহ চলমান রাখতে হবে। কিন্তু কতিপয় অজ্ঞানতাপ্রসূত ও হীনস্বার্থান্বেষী মানুষ নদী হত্যায় নিমগ্ন। তার প্রবাহকে করছে রুদ্ধ, পানিকে করছে দূষিত। গতকাল সকালে ভাসমান অসংখ্য সাদা সাদা কৃত্রিম থালার বর্জ্য দেখে এইড কর্মীগণ হতবাক হয়ে যায়! বিবেকের দংশনে তাদের প্রাণচঞ্চল করে ওঠে। ফলস্বরূপ সকল কর্মী একত্রে একটি নৌকা ও দুইটি তালের ডোঙ্গাযোগে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বর্জ্য অপসারণে। এইড কমপ্লেক্স এর উত্তর গা থেকে ধোপাঘাটা ব্রীজের নীচ পর্যন্ত জলাশয় থেকে উত্তোলিত করা হয় সকল পরিত্যাক্ত উচ্ছিষ্ট এবং স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কা দুর করতে আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মন্জুরুল ইসলাম,এইড ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তারিকুল ইসলাম পলাশ,নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, পরিচালক দ্বয় আব্দুর রশীদ ও আশাবুল হক , সহকারী পরিচালক চন্দন বসু মুক্ত,ড্রিম প্রকল্পের পিসি শাহাব উদ্দীন আহমেদ, পিসি সুরাইয়া পারভীন শিল্পি,নাসরিন সুলতানা, মোহনা সাংস্কৃতিক একাডেমির ফারুকুল ইসলাম টুটুল,সনিয়া আক্তার লপতি সহ ২শতাধিক এইড ফাউন্ডেশন এর কর্মী প্রমূখ
প্রকৃতি প্রেমী এইড ফাউন্ডেশন ও তার নিবেদিত প্রাণ কর্মীবাহিনী পরিবেশ বাঁচাও, নদী বাঁচাও, ধরিত্রী বাঁচাও আন্দোলনের অগ্র-সেনানী। তার জ্বলন্ত প্রমাণ মেলে ঝিনাইদহের সকল পরিবেশ আন্দোলনের অগ্রসারিতে অবস্থান করে জনমত সৃষ্টি ও নিজ উদ্যোগে পরিবেশ বান্ধব কর্মকান্ড পরিচালনা করা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বৃক্ষরোপন ও পক্ষীকুলের অভয়াশ্রম-সহ নদী, মৎস্য ও জলজ প্রাণির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধোপাঘাটা ব্রীজের নীচ থেকে দক্ষিণমুখো জলাধারের ০১ (এক) কিলোমিটার পর্যন্ত এইড ফাউন্ডেশনকে সরকার বরাদ্দ প্রদান করেছে। এইড এর কর্মীগণ প্রাণের থেকেও ভালোবাসে যে নদীকে, তার দূষণ, ক্ষতি সে কি করে সইবে? তাই সম্প্রতি আমাদের অমঙ্গল আশঙ্কা থেকে একটি আবেদনে ঝিনাইদহের সুযোগ্য মেয়র মহোদয়কে নর্দমার বর্জ্যময় দূর্গন্ধযুক্ত পানি থেকে নদীর পানি, মৎস্য সম্পদ, জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণি তথা পরিবেশ রক্ষায় নর্দমার শেষ মাথায় লৌহজালি স্থাপনের। শেষ পর্যন্ত আমাদের আশঙ্কাই সত্য হলো, সেই কারণেই বোধ হয় জনৈক অসচেতন ব্যক্তি নদীতে অথবা নর্দমাতে ফেলে দিয়েছিলো কৃত্রিম বস্তুর তৈরী কয়েকশত পরিত্যাক্ত থালা। আমাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন-‘নদী কি বর্জ্য ফেলার ভাগাড়’?
এই ঘটনাটির বিষয়ে সচেতন নাগরিক, প্রশাসন ও পরিবেশ আন্দোলনকারীগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন ঝিনাইদহ শহরের ধমনী নবগঙ্গা নদীতে জলপ্রবাহকে সচল রাখি, অন্যথায় একদিন বন্ধ হয়ে যাবে আমাদের রক্ত প্রবাহ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
272829  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫