বিয়ে করার আগে

লাইফস্টাইল ডেস্ক ॥

ঢাকা: ১। বায়োডাটা যাচাই: অবশ্যই উভয় পক্ষের অভিভাবকদেরই উচিত লিখিত সিভি আদানপ্রদান করা, এবং ভালোভাবে দেখে নেয়া। হাইট বা পড়ালেখা সংক্রান্ত কোন তথ্য মিসিং থাকলে জিজ্ঞেস করে জেনে নেয়া উচিত। খুব ভালো হয়, পাত্রের নিজের লেখা সিভি সংগ্রহ করতে পারলে। এতে তার চাহিদা, কমন সেন্স ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা হয়ে যাবে। (কারণ কোন কোন গন্ধমাদন চাকুরীর দরখাস্তের জীবনবিত্তান্ত হবু শশুরবাড়ি পাঠায়)।

২। তথ্য যাচাই: জীবনবৃত্তান্তে দেয়া তথ্য যে কোণ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে। বিশেষ করে অনার্স বা এর চেয়ে বড় বয়সের কোন সহপাঠী, যে নিজে নীতিবান, তার কাছ থেকে জানা যেতে পারে। মনে রাখবেন, তৃতীয় পক্ষটি নিজেই যেন নীতিবান হয়। না হয়, সেই নাইন্টি নাইন পার্সেন্টের পাঁকে পড়ে যেতে হবে।

৩। অভিভাবকদের দেখা: উভয় পক্ষেরই উচিত ছেলে এবং মেয়েকে ভাই, মা বা অন্য কোন আস্থাভাজন ব্যক্তিকে দিয়ে দেখানো। অনেক সময় সামনাসামনি অনেক কিছু বুঝা যায়, যেটা বছরকে বছর কথা বলেও বুঝা যায় না। সেরকম মুরুব্বী না থাকলে বা দূরে থাকলে বয়সে বড় কোন প্রতিবেশী, কলিগকে দিয়েই দেখানো যায়। তবে, সর্বোত্তম কাজ হল, মেয়েটিকে এবং তার পরিবারকে যথাসম্ভব কম বিরক্ত করা। যে ঘরে সম্বন্ধ হবে কিনা এখনও নিশ্চিত না, সেখানে ঘটা করে না গিয়ে যে কোন পরিচিতের সোর্স ধরে যাওয়টাই রুচির পরিচায়ক। এতে আপনি সাধারণ পরিবেশে মেয়েটিকে যাচাইয়েরও দূর্লভ সুযোগ পাচ্ছেন।

৪। পাত্রপাত্রীর দেখাদেখি: এই পর্যায়টি সর্বশেষ পর্যায়। উপরের তিনটি পর্যায়ে সম্পূর্ণ গ্রীন সিগন্যাল পেলেই কেবল এ পর্যায়ে আসা উচিত। যদিও, কেউ কেউ এটিকেই ঘটকালির প্রথম ধাপ মনে করেন। বন্ধুকে বগলদাবা করে, ‘চল আমার এক ভাগনী আছে, আগে দেখবি তাপ্পর সব’ বলে নিয়ে যাওয়ায়টা সাধারণত অনেক ধরণের সমস্যার জন্ম দেয়। বিয়েবাড়িতে গিয়েও ছেলের মামী মেয়ের উচ্চতা নিয়ে খুঁতখুঁত করেন, আর মেয়ের চাচা বলেন, ছেলে এতো কালো ক্যান? আপনি যদি পাত্রী হন, মনে রাখবেন, আপনাকে একটি মহার্ঘ্য সম্পদ হিসেবেই রাখা হয়েছে। আপনার কাছে আসতে হলে, একটি ছেলেকে তার গুণ, সামর্থ্য সব দিক দিয়ে আপনার অভিভাবককে খুশী করে আসতে হবে। সাক্ষাতের সময় কোন অভিভাবক উপস্থিত থাকতে হবে, প্রাথমিক পরিচয় করিয়ে তিনি একটু দূরে বসে ব্যক্তিগত আলাপের সুযোগ করে দেবেন। এ সময়ে, দুজনেরই উচিত নিজেদেরকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা, তবে আল্লাহর দেয়া গঠন বৈশিষ্ট্য না লুকিয়েই। কারণ, হাদীসে বিয়ের আগে পরষ্পরকে দেখে নেয়ার কারণ বলা হয়েছে, ‘যেন আকর্ষণ তৈরী হয়’।

এবং অভিভাবকদেরও এমন প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত যেন যে কোন পক্ষ যে কোন সময় ‘না’ বলার উপায় রাখেন আবার দুপক্ষ ‘হাঁ’ বললে যেন যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে পড়িয়ে দেয়া যায়। এনগেজমেন্ট নামক বিদঘুটে বস্তু বছর পর বছর করে ‘অনুমোদিত যিনা’র মধ্যে সন্তানকে ছেড়ে দেয়ার চেয়ে বিয়ের কথাবার্তা না বলাই ভালো।

আর, যাদের নিজেদের মধ্যে ‘আন্ডারস্ট্যন্ডিং’ টাইপের সম্পর্ক থাকে, মনে রাখবেন, আপনি লেভেল জিরোতে আছেন। আপনার পছন্দের ছেলে/মেয়েটি এই চারটি ধাপে উৎরে গেলেই আপনার পা বাড়ানো উচিত। যাঁদের দ্বীনদার অভিভাবক নাই, তাঁরাও কোনধরণের শর্টকাট রাস্তায় হাঁটবেন না। যে দ্বীনদার ভদ্রলোক দ্বীনদার পতœী খুঁজছেন, তাঁকে আপনার জন্য দ্বীন ভায়োলেট করতে দেবেন না। দ্বীনি বোন, আপা-দুলাভাইদের কাজে লাগাতে পারেন, তাঁদের উপস্থিতিতে দেখাদেখি করতে পারেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫