বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা পৌর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না নির্বাচনের কমিশনের এমন বিধিমালার বাতিলের সুপারিশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী রোববার ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে একটি লিখিত আবেদনপত্র দেবে বলে বেঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।
একই সঙ্গে পৌর নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা ও পৌরসভার সভাপতি-সম্পাদক এবং স্থানীয় দলীয় এমপি একত্রিত হয়ে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নে দিতে দলটির সংসদীয় বোর্ডের আদলে ‘মনোনয়ন সিলেকশন বোর্ড’ গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের ১১ সদস্য এবং দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা নতুন ৫ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করবেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘দলীয়ভাবে এবং দলীয় প্রতীকেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছে। তাহলে কেন এমপি-মন্ত্রীরা অংশ নিতে পারবে না?’
তার এমন বক্তব্য সমর্থন করে একাধিক নেতা বক্তব্য দেন। তারা বলেন, দলীয় নির্বাচনে এমপিরা প্রচারণায় অংশ নেবেন এটাই স্বাভাবিক।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে আপনারা বিধিমালা দেখেননি?’
এরপর এমপিরা কমিশনে গিয়ে বিধিমালা পরিবর্তনের দাবি জানালে সভানেত্রী সম্মতি দিয়েছেন বলে একাধিক নেতা বাংলামেইলকে জানিয়েছেন।
আরো জানা গেছে, আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে স্ব স্ব পৌরসভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করে পাঠাবে স্থানীয় নেতারা। যেখানে সমাঝোতা হবে না, সেখানে যারা যারা প্রার্থী হতে চায় তাদের সবার নাম পাঠাবে দলীয় সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। সেখানে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যাচাই বাছাই করে দলীয় সিলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। সিলেকশন কমিটি প্রার্থী চূড়ান্ত করে দলীয় সভানেত্রীর কাছে জমা দেবে।
উল্লেখ্য, এর আগে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারণায় মন্ত্রী-এমপিদের অংশগ্রহণের বিধান করতে যেচে উদ্যোগ নেয়। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি না পাওয়াতে সে বিধান আর করা হয়নি। এখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি নিয়ে গেলে কমিশন কী করবে সেটাই দেখার বিষয়।
অবশ্য জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারণায় মন্ত্রী-এমপিদের অংশগ্রহণ নিয়ে নানা মহলের আপত্তি রয়েছে। এমনকি স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার নিয়েও আপত্তি থাকলেও তা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে শুধু মেয়র পদপ্রার্থীদের জন্য এ সুযোগ রাখা হয়েছে। বাংলামেইল২৪ডটকম