গোলাম সারোয়ার ॥
শিরোনাম দেখে হয়ত চমকে উঠবে অনেকেই! কেননা হরিলুটের আবার স্থাপনা হয় নাকি? সরকার যেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সুষ্ঠু বন্টনের জন্য প্রানান্তর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তার অংশ হিসেবে শ্রীপুর, গাজীপুর এর উপর দিয়ে বয়ে গ্যাস যাওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলমান। তখনই বাংলাদেশের দুটি সুমানধন্য প্রতিষ্ঠান তিতাস ও পেট্রোবাংলা তাদের কার্যক্রম শুরু করে। উক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু সাথে সাথেই এলাকার কতিপয় পরিচিত/প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ গ্যাস লাইনের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে স্বল্প মূল্যের ইটা, বালি ও কাগজের ন্যায় টিন দিয়ে অসংখ্য ঘরবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করতে শুরু করে। উক্ত ঘরবাড়ী/স্থাপনাকে এলাকাবাসী নাম দেয় হরিলুটের ঘরবাড়ী। এলাকার সাধারণ লোকজন ও বিটিআরসির পিডি বলেন, ঘর ও স্থাপনা গুলি অহেতুক সরকারী টাকা আতœসাতের জন্য শুধুই প্রতারনা মাত্র। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও কয়েকটি টিভি চ্যানেলে বিষয়টি ফলাওভাবে প্রচার হলে শ্রীপুরের কয়েকজন প্রভাবশালী শিক্ষক, অধিগ্রহন অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিকের নাম চলে আসে এবং এটাও প্রচারিত হয় যে, অসাধুরা সরকারের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিশাল পরিকল্পনা হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। মিডিয়ার কল্যাণে বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে একজন আইনজীবি উচ্চ আদালতে রীট করেন; বিষয়টি হাইকোট থেকে উচ্ছেদ কার্যকরের নির্দেশ আসে। সে আদেশের প্রেক্ষিতে গতকাল সকাল ১০ ঘটিকা থেকে গাজীপুর জেলার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০ কিঃ মিঃ অবৈধভাবে নির্মিত সকল স্থাপনা বিনষ্ট/উচ্ছেদ করার কাজ শুরু করে। উচ্ছেদ কার্যক্রমে উচ্ছেদের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে অংশ নেয় ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ ১২০ জন লেবার অংশ নেয়। একই অভিযানের আওতাভূক্ত গাজীপুর জেলার আরো ৪ জন ম্যাজিষ্টেট শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ আরো একটি উচ্ছেদ টিম পেট্রোবাংলার দীর্ঘ ২৫ কিঃমিঃ পথ যা শ্রীপুর সাতখামাইর থেকে ধনুয়া কাচিনা বাঁশবাড়ী এলাকায় একই সময় উচ্ছেদ অভিযান পারিচালনা করেন।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের প্রকল্প পরিচালক জনাব আঃ ছাত্তার বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে গাজীপুর ডিসি অফিস ও গ্যাস কর্তৃপক্ষ মিলে এই উচ্ছেদ অভিযান চালায়।