স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের দুই পরিচালককে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (২২ নভেম্বর) ব্যাংকটির চেয়ারম্যান রুবেল আজিজ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আরকে হোসেনের কাছে পাঠানো চিঠিতে সোমবার থেকে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছে।
দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ১২ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চারজনই রয়েছেন পারটেক্স গ্রুপের কর্ণধার এম এ হাশেম পরিবারের। এরা হলেন চেয়ারম্যান রুবেল আজিজ, পরিচালক আজিজ আল কায়সার, তাবাসসুম কায়সার ও সাইয়েদা সায়রিন আজিজ।
২০১৩ সালের ২১ জুনের সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনটি কার্যকর হয়েছে পরের বছর ২২ জুলাই থেকে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫ ধারার (১০) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতের কোনো ব্যাংকে একই পরিবার থেকে একই সময়ে দুইজনের বেশি পরিচালক রাখা যাবে না।
এই ধারার ১১ উপ-ধারায় আরও বলা আছে, পরিচালকদের পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে পদত্যাগের মাধ্যমে এই নির্দেশনা কার্যকর করতে হবে। তবে কোনো কারণে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পরিষদের সভায় কাকে বাদ দেওয়া হবে তা লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে। পরিবারের সদস্যদের ব্যাখ্যায় আইনে বলা হয়েছে, স্বামী বা স্ত্রী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল সবাই অন্তর্ভুক্ত হবে।
আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর সাত দিনের মধ্যে একই পরিবার থেকে পরিচালক দুইজনে নামিয়ে আনতে দ্য সিটি ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছিলো
বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
এ সময়ের মধ্যে পরিচালক দুইজন না করে উচ্চ আদালতে রিট করেন ব্যাংকের পরিচালক দীন মোহাম্মদ। পরে শুনানি শেষে আদালতও রিটটি খারিজ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে রায় দিয়েছে। দীর্ঘদিন আগে রিটটি খারিজ হলেও সিটি ব্যাংক এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে আবার রোববার চিঠি পাঠিয়েছে।
সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানায়, বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিচালকদের। পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত দু-একদিনের মধ্যে জানা যাবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ৮৭৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ ব্যাংকটিতে উদ্যোক্তাদের মোট শেয়ার ৩১ দশমিক ১১ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৪৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২১ দশমিক ৯ শতাংশ।