স্টাফ রিপোর্টার ॥ আর্কাইভ না থাকায় তথ্য গায়েব হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে এবার ই-ফাইলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে কোনো তথ্যের জন্য আর কাগজ-পত্র ঘাটতে হবে না কর্মকর্তাদের। কম্পিউটারে এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে যে কোনো তথ্য।
ইসি সূত্র জানায়, এ যাবত সম্পন্ন ১১টি সাধারণ নির্বাচন, ৩টি গণভোটসহ বিভিন্ন নির্বাচনের ভোটার তালিকাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে গেছে। অনেক সময় প্রয়োজন হলেও তা খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই ২০১৩ সালে সীমিত আকারে ডিজিটাল নথি ব্যবস্থাপনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইসি। এবার সে বিষয়টি আরও বড় পরিসরে করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে ইসির কর্মচারী ব্যবস্থাপনা, নির্বাচনে নিয়োজিত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সব কর্তৃপক্ষ, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তথ্য এবং আগে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্য ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানায় ইসি সূত্র।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১ অক্টোবরে মধ্যে এ বিষয়ে কাজ-কর্ম সম্পন্ন করে তার অগ্রগতি কমিটিকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ইসির একজন উপ-সচিবকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন, প্রোগ্রামার মুহাম্মদ মহসিন রেজা, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মিজানুর রহমান।
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় এ কমিটিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিতেও বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব মো. মতিয়ার রহমান বলেন, কাগজের ফাইলে এতো তথ্য সংরক্ষণ করা খুব কষ্টকর। সেই ৭৩ সালের নির্বাচন থেকে এ পর্যন্ত কত নির্বাচন হয়েছে, এজন্য শত শত ফাইলও করা হয়েছে। এসব ফাইল থেকে অনেক তথ্য খুঁজে বের করাও মুশকিল। তাই ই-ফাইলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে যে কোনো নির্বাচনের তথ্য পেতে আর কোনো অসুবিধা হবে না।
অন্যদিকে আগে যেসব নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে যে ফাইলগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোও ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।
এছাড়া নির্বাচনী উপকরণ সরবরাহ ও বিতরণের জন্য ইনভেনটরি কন্ট্রোল সফটওয়্যার, ই-টেন্ডারিং, নির্বাচনী আইন ও সব প্রকার বিধিমালা সংরক্ষণের জন্যও ডাটাবেজ তৈরি করা হবে।