কালিয়াকৈর (গাজীপুর) থেকে আব্দুল আলীম অভি ॥
সড়ক পথে যানজট, বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালানো, ট্রাফিক আইন অমান্য করে ভিন্ন পথে গাড়ী চালানো এবং দুর্ঘটনারোধে ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ক্যামেরা পদ্ধতির উদ্বোধন করা হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়ে অস্থায়ী পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশ বিভাগ মূলত: একটি তদারককারী সংস্থা। আসন্ন দুর্গোৎসব ও ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কগুলোতে যাত্রী ও যানাবহনের চাপ বেড়ে যায়। ফলে যানচলাচলে নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এসব প্রতিবন্ধকতাগুলো কমিয়ে আনতে আইপি ক্যামেরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা সহজ হবে। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ প্রযুক্তির বিস্তার ঘটিয়ে জনসেবার পরিধি স্বাচ্ছন্দ্য, ত্বরান্বিত ও বৃদ্ধি করা হবে। প্রযুক্তি কখনো স্থায়ী হয় না, এটি চলমান। আগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করা হত। এখন তা পুরনো হয়ে গেছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়। যুগপোযোগী সেবা দেওয়ার জন্য আইপি একটি সময়োপযোগী প্রযুক্তি।
আইজিপি আরোও বলেন, গাজীপুরসহ কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০টি আইপি সার্ভার পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। সকল প্রকার যানজট নিরসনের জন্য আইপি প্রযুক্তি চলমান রাখার জন্য ঈদের পরও এ প্রযুক্তিগুলো চলমান থাকবে।
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা প্রযুক্তি ক্যামেরা ও তারের সংযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এ পদ্ধতিতে তদারক করতে হলে সার্ভার কক্ষে গিয়ে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের ডিসপ্লে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কিন্তু আইপি ক্যামেরা পদ্ধতি তারবিহীন। তবে সিসিটিভি পদ্ধতি এর একটি অংশ। আইপি ক্যামেরা পদ্ধতি ব্যবহার করে থ্রিজি সংযোগের মাধ্যমে একজন কর্মকর্তা নির্দিষ্ট গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের যে কোনো জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণের আওতাভূক্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ এবং তদারক করতে পারবেন।
এএসপি জানান, গাজীপুর জেলার যানজট প্রবণ চন্দ্রা এলাকায় পাঁচটি ক্যামেরা, চান্দনা চৌরাস্তায় পাঁচটি, শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় চারটি ও কালিয়াকৈর এলাকায় দুইটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গাজীপুরের পুলিশ সুপারসহ জেলার পুলিশ কর্মকর্তাগণ গোপন একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থ্রিজি সংযোগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের আওতাভূক্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ এবং তদারক করবেন।
এসময় আইজির সাথে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান, হাইওয়ের ডিআইজি আসাদুজামান মিয়া, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদসহ পুলিশের উর্ধŸতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।