জাহিদ হাসান জিহাদ ॥
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে সপ্তাহখানেক আগে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমানে দেশের সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ যথেষ্ট রয়েছে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক। সুতরাং রমজানের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নাই। কিন্তু রমজান মাস শুরু থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ক্রেতাদের নাবিশ্বাস উঠেছে। মাত্র পনের দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি বেগুনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। পনেরদিন আগে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। সেই বেগুন এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে। পনেরদিন আগে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হতো ৩০ টাকা কেজি। সেই টমেটো এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। এইসব সবজির দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়াও দেখা গেছে প্রতি কেজি আলু কিছুদিন আগে বিক্রি হতো ১৫ থেকে ১৮ টাকা। সেই আলু এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা দরে। ৩০ টাকার চিচিঙ্গা এখন ৫০ টাকা। ৪০ টাকার গাজর এখন ৫৫ টাকা। ৬০ টাকার কাচা মরিচ এখন ১০০ টাকা। ৪০ টাকার জিংগা এখন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগে অনেক পণ্যের দর নিয়ে সভাসমাবেশ করলেও দাম বৃদ্ধির পর তাহা কমানোর জন্য কোন মনিটরিং সেল কিংবা সরকারের কোন সংস্থাকে গাজীপুরের বাজারগুলোতে আসতে দেখা যায়নি।
আজ শুক্রবার গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে প্রতি আলু ২৫ টাকা, কাকরল ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, পেপে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, চিচিংগা ৫০ টাকা, জিংগা ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকা, কাচা কলার হালি ৩০ টাকা এছাড়াও মিষ্টি কোমড়া ২৫ টাকা, ঝালি কোমড়া ২০ টাকা, লাউ ২০ থেকে ৩০ টাকা, সবুজ শাক প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পাট শাক ২০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা, ধনে পাতা ১০০ গ্রাম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, প্রতিবার রমজানের সময় পণ্যে দাম হয় আকাশ ছোঁয়া। এটা কি? এর কি কোন বিহীত হবে না? সারা জীবন কি এইভাবেই চলতে থাকবে?
বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি কেজি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে। প্রতি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, দেশি মসুরির ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ভারতীয় মুসরির ডাল ৯০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান মসুরির ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৫০ কেজি, বুটের ডাল ৬৫ টাকা কেজি, ছোলা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি, খেসারির ডাল ৪৫ টাকা কেজি, মুগ ডাল ১২০ টাকা কেজি, চিনি ৪৮ টাকা কেজি, আটা ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি খোলা লিটার সয়াবিন তেল ১০৫ টাকা, পাম্প ওয়েল প্রতি লিটার ৯০ টাকা, ফার্মের মুরগির প্রতি হালি ডিম ৩০ টাকা, দেশী মুরগীর ডিম প্রতি হালি ৪০ টাকা, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৭০ টাকা, গরুর মাংস ৩০০ টাকা, খাসির মাংস ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, হাঁস প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা, প্রতি বড় আকারের কাতল মাছ ৩৬০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, ছোট টেংরা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, কই মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, সুরমা প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, পাংগাস ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, সিলভার কার্প প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, চায়না পুঁটি ২২০ টাকা, মৃগেল মাছ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, মাঝারি আকারের এক জোড়া ইলিশ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বাজার ঘুরে জানা গেছে।