বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
তালা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল জনযুদ্ধ) আঞ্চলিক কমান্ডার গফফার পাহাড় (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় তার সহযোগী গুলিবিদ্ধসহ গুরুতর আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, চার রাউন্ড গুলি, দুইটি গুলির খোসা, একটি ছোরা ও একটি রাম দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মাগুরা এলাকার টেংরার বিলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বিরুদ্ধে তালাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ প্রায় দেড় ডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত গফফার তালা উপজেলার ডাঙ্গানলতা গ্রামের আবু পাহাড়ের ছেলে। গুলিবিদ্ধ সহযোগী কাজী সাইফুল ইসলাম (৪২) দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদক স ম আলাউদ্দীন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এবং সদরের সুলতানপুর গ্রামের মৃত কাজী আব্দুল অহাবের ছেলে।
এছাড়া আহত পুলিশ সদস্যের নাম মহিদুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দীন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু বকর সিদ্দিক জানান, মাগুরা এলাকার টেংরার বিলে গফফার ও সাইফুল ইসলামসহ ১৪-১৫ জন চরমপন্থি নেতা বৈঠক করছে বলে থানায় খবর আসে। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ টেংরার বিল এলাকায় পৌঁছালে চরমপন্থিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে ১৫ মিনিট ধরে গুলিবিনিময় হয়। এরপর চরমপন্থিরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে চরমপন্থি কমান্ডার গফফার পাহাড় ও সাইফুল ইসলামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গফফারকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠান।
ওসি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চরমপন্থিরা ১০-১৫টি গুলি ছুড়েছে। পুলিশও পাল্টা ১০টি গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, চার রাউন্ড গুলি, দুইটি গুলির খোসা, একটি ছোরা ও একটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় থানার দুই কনস্টেবল মহিদুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দীন আহত হয়েছে।’
তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক (আরএমও) ডা. জ্যোর্তিময় সরকার জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই মারা যান গফফার। আর গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলামেইল২৪ডটকম