শত শত তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন গাদ্দাফি

বাংলাভ’মি২৪ ডেস্ক ॥ লিবিয়ার সাবেক নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি শত শত তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিলেন এবং তাদের যৌন ক্রীতদাসী হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন বলে বিবিসির নতুন এক ডকুমেন্টারিতে অভিযোগ করা হয়েছে। বিবিসি ফোর-এর সেই ডকুমেন্টারিতে উত্তর আফ্রিকার দেশটির নেতার ৪২ বছরের শাসনামলের অন্ধকার দিক তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গাদ্দাফির যৌন ক্রীতদাসীরা ছিল কুমারী ছাত্রী। তাদের স্কুল ও কলেজ থেকে ধরে নিয়ে রাখা হতো। এরপর তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন গাদ্দাফি। এ সময় তাদের ‘শিক্ষা’ হিসেবে জোরপূর্বক পর্নোগ্রাফি দেখতে বাধ্য করা হতো বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

বিবিসি ফোর জানিয়েছে, এ ঘটনাটি প্রকাশ করেছেন একজন নারী। তিনি গাদ্দাফির এ ধরনের একটি আস্তানা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। গাদ্দাফি সম্পর্কে নারী নির্যাতনের এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় তার মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পরে।

বিবিসির রিপোর্টে ডাক্তারি যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ একটি কক্ষও দেখানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যৌন ক্রীতদাসীদের এখানে জোরপূর্বক মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং পরবর্তীতে গর্ভপাত করানো হতো। এ ধরনের বহু তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর গাড়ি পার্কিং ও ময়লা ফেলার স্থানে ফেলে দেওয়া হতো, যেখানে তারা মারা যেত।

এ ধরনের ঘটনার শিকার এক নারী জানান, তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল গাদ্দাফির নারী বডিগার্ডরা। এরপর তাকে নগ্ন করে সেভ করানো হয় এবং মেকআপ করে জি-স্ট্রিং নামে একটি পোশাক পরানো হয়। পরবর্তীতে তাকে গাদ্দাফির কাছে পাঠানো হয় বলে দাবি করেছেন তিনি।

‘স্টোরিভাইল: ম্যাড ডগ- গাদ্দাফিস সিক্রেট ওয়ার্ল্ড’ নামে ডকুমেন্টারিটিতে প্রধানত গাদ্দাফির প্রাসাদের অভ্যন্তরের খবর বিভিন্ন মানুষের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫