স্টাফ ররিপোর্টার ॥ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে যশোর-১ আসনে বিজয়ী প্রার্থী আফিল উদ্দিন ও যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের মনিরুল ইসলামকে দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের শুনানি অনুষ্ঠিতম হবে সোমবার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে বেলা ১১টায় এ শুনানি হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
কেন তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ৭ জানুয়ারি ওই নোটিশ দেয়া হয়।
পরদিন ৮ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের ৯৫টি কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে পুনঃনির্বাচন দাবি করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল ইসলামের বেয়াই যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের দেখানো পথেই ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ কারণে যশোর-১ আসনেরও পুনর্র্নিবাচন দাবি করেন তিনি।
রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, যশোর-২ আসনের চৌগাছা ও ঝিকরগাছায় ৯৫টি কেন্দ্র দখল করে ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে। যশোর-১ আসন থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত শেখ আফিল উদ্দিন ও যশোর-২ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনিরুল ইসলামের নির্দেশে চৌগাছার ৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭০টি দখল করে ১০০ দুর্বৃত্ত। তারা নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কলস প্রতীকের পক্ষের ভোটার ও এজেন্টদের বের করে দেয়। এরপর ব্যালটে সিল মেরে জাল ভোট দেয়া হয়।
একইভাবে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ঝিকরগাছা উপজেলার ২৫টি কেন্দ্র দখল করে নৌকার পক্ষে জাল ভোট দেয়। এ নির্বাচনী এলাকার ১৭৪ কেন্দ্রের মধ্যে ৯৫টি কেন্দ্রই দখল করে জাল ভোট দেয়া হয়েছে।
পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামের পোলিং এজেন্টদের সভায় যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ভোট জালিয়াতির বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেই মোতাবেক ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন ও যশোর-২ মনিরুল ইসলামের ‘প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না’ এই মর্মে নোটিশ দিয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা উপজেলার পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শেখ আফিল এমপি যশোর- আসনের প্রার্থী ও তার বেয়াই মনিরুল ইসলামের পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছিলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে আমার উপজেলা থেকে ১০০ নির্ভীক কর্মী উপস্থিত থাকবে। তারা ভোট দিয়ে আবার লাইনে এসে দাঁড়াবে এবং বার বার ভোট দেবে। এভাবে সারাদিন তারা ভোট দিয়ে যাবে। প্রশাসনের কোনো ভয় নেই, সেটা আমি (আফিল উদ্দিন) দেখবো।’
উল্লেখ্য, নির্বাচনে এ দু’প্রার্থী বিজয়ী হলেও কমিশন তাদের গেজেট প্রকাশ করেনি।