স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ জামিন মঞ্জুর করে। এদের মধ্যে হান্নান শাহ পাঁচটিতে, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন একটিতে এবং অন্যরা দু’টি মামলায় ছয় মাস করে জামিন লাভ করেছেন।
অন্য কোন মামলা না থাকায় হান্নান শাহ ও মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা। বিএনপি নেতাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, বদরুদ্দোজা বাদল, এহসানুর রহমান, সগীর হোসেন লিওন প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও শিমুল বিশ্বাসকে গত বছরের ৬ই মে মতিঝিল থানায় দায়ের করা দু’টি মামলায় ৬ মাসের জামিন দেয়া হয়েছে। গত বছরের ৫ই মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তাণ্ডবে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান হত্যার ঘটনায় এবং অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে। এ দু’টি মামলায় তাদের উস্কানিদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া মওদুদ আহমেদকে মতিঝিল থানায় করা গাড়ি ভাঙচুরের একটি এবং দুদকের করা আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো রয়েছে। এছাড়া অন্য তিনজনকে আরও একটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো রয়েছে, তাই তারা এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গত বছরের ৮ই নভেম্বর মওদুদ আহমদ, এক মে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও শিমুল বিশ্বাসকে, ২৪শে নভেম্বর হান্নান শাহকে এবং চট্টগ্রাম থেকে ২৮শে নভেম্বর মীর নাসিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।