বিনোদন ডেস্ক ॥ সব ধরনের গানই করেন বিউটি। কিন্তু লালনসংগীতেই অধিক পরিচিতি তাঁর। অডিও, প্লেব্যাক, জিঙ্গেল, স্টেজ সবখানেই তাঁর পদচারণ।
ঢাকার বাইরে শো করতে গিয়েছিলেন বিউটি। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকার সীমানায় এসে যানজটের কবলে পড়েছে বিউটির গাড়ি। পিঁপড়া গতিতে চলছে। শত ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়েও নিজেকে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। বিউটিও সেই দলের একজন। ‘সাজিয়ে-গুছিয়ে কথা বলা আমার স্বভাবজাত। শত ব্যস্ততার মাঝেও হাসিমুখে থাকতে পছন্দ করি। সুন্দর করে কথা বলা, সুন্দর চালচলন, পোশাক-পরিচ্ছদ একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। তা ছাড়া এখন যেহেতু গানের মৌসুম, এ সময়ে আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয়।’ স্মিত হেসে বললেন বিউটি। ২০০৫ সালের ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার পর আমার ব্যস্ততা বেড়েছে। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন গান নিয়ে ব্যস্ততা অনেক বেশি। শিডিউল মেইনটেইন করে চলতে হচ্ছে প্রতিটি দিন। নতুন একটি শোতে অংশ নেওয়ার কথাও জানিয়ে রাখলেন। তা-ও ঢাকার বাইরে। শ্রোতাদের কাছে লালনশিল্পী হিসেবে পরিচিতি তাঁর। বিউটি বলেন, ‘আমি লালনের পাশাপাশি আধুনিক গানও গাই। তবে যেহেতু আমার বেসিক লালনসংগীতে, তাই শ্রোতাদের কাছ থেকে বেশির ভাগ অনুরোধ আসে লালনের জন্য। আমারও গাইতে ভালো লাগে।’ ছোটবেলাতেই আসক্ত হয়ে পড়েন লালনসংগীতে। লালনের গানের কথা তাঁকে বেশি টেনেছে। নজরুলসংগীতের চর্চা করতেন বাবা। তাঁর হাত ধরে গান তুলেছেন কণ্ঠে। নিজেও নজরুলসংগীত করেন মাঝেমধ্যে।
দ্বিতীয় একক ‘লালন কন্যা’র পুরোটাই লালনের গান দিয়ে সাজানো ছিল। অ্যালবামের ‘আউলা প্রেমের বাউলা বাতাস’ গানটি বেশ শ্রোতাপ্রিয় হয়। সামনে লালনের ১০টি গান দিয়ে আরেকটি অ্যালবাম বের করার কথা জানালেন। এই অ্যালবামের গান বাছাইয়ে লালনের জনপ্রিয় গানগুলোকে দূরে রাখতে চান। তবে এরই মধ্যে আধুনিক গান নিয়ে নিজের চতুর্থ এককের কাজও করছেন তিনি। এ বছরের মাঝামাঝি বাজারে আসবে অ্যালবামটি। এতে ১০টি গান থাকবে। গানগুলো সুর করছেন লুৎফর হাসান ও রাজেশ এবং সংগীতায়োজনে সুমন কল্যাণ ও রাজেশ। ঈগল মিউজিক থেকে আসবে অ্যালবামটি। সময় সুযোগ করে নতুন অ্যালবামটির কিছু গানের মিউজিক ভিডিও করবেন বলেও জানালেন। তার আগে কিছুদিনের মধ্যে কাজী শুভর সঙ্গে একটি দ্বৈত গান বাজারে আসবে বলে আশা করছেন তিনি। কথাবার্তাও চলছে কিছু জিঙ্গেল ও প্লেব্যাকের। বিউটি বলেন, ‘অডিও, স্টেজ শো, টিভি অনুষ্ঠান এসবের পাশাপাশি প্লেব্যাক ও জিঙ্গেলে কণ্ঠ দেওয়াটাও আমি খুব এনজয় করি।’
শত ব্যস্ততার মাঝেও সব সময় সুন্দর একটি জীবনকেই নিজের মাঝে লালন করেন বিউটি। যেমনটি এখন চলছে। শোর পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি লাইভে ইদানীং বিউটিকে বেশ দেখা যায়। আগামীকাল রাতে আরটিভিতে একটি লাইভে দেখা যাবে। অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফিরলে সবচেয়ে বড় সমালোচক নাকি তাঁর স্বামী হাসান ফেরদৌস আহমেদ। ‘আমার প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক সে। কখনো কষ্ট দিতে চায় না। ভালো কিছু করলে খুব প্রশংসা করে, মন্দ হলে তা বুঝিয়ে বলে। তার সহায়তায় ব্যস্ততার মধ্যেও অনার্স শেষ করতে পেরেছি।’ ইউডা থেকে ইতিমধ্যে মিউজিকের ওপর অনার্স শেষ করেছেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন লালনের ওপর উচ্চতর গবেষণার। এভাবে স্বামী, সংসার, পড়াশোনা ও গান সবই থাকবে সেখানে। অনেক সাজানো-গোছানো একটি সুন্দর জীবন, যেখানে খুঁজে পাবেন তিনি নিজের নামের সার্থকতা।