সারা দেশে এটিএম বুথ নিরাপত্তাহীন অবস্থায়

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সারা দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সাড়ে ৫ হাজার অটোমেটেড ট্রেলার মেশিন বা এটিএম বুথ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে। এসব এটিএম বুথের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন দারোয়ান থাকলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকার অজুহাতে প্রয়োজনীয় টাকা সরবরাহ করতে গড়িমসি করছে অধিকাংশ ব্যাংক। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বিরোধী জোটের টানা অবরোধ ও হরতালে অধিকাংশ বুথ ছিল টাকাশূন্য। যদিও ওই সময় নগদ অর্থের চাহিদা বেশি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকেই।

জানা গেছে, অবরোধ ও হরতাল চলাকালে কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথে অগ্নিকাণ্ড ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে বুথগুলোতে টাকা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ব্যাংকগুলো। ওই সময় এটিএম বুথের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেয় ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা। পরে ৪ ডিসেম্বর ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ওইদিন এটিএম সেবাদানকারী ব্যাংকগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৈঠকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এটিএম বুথে টাকা সরবরাহের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়। সাধারণত সহজে লেনদেন করার সুুবিধা নিতে গ্রাহকরা এটিএম কার্ডের সেবা নিয়ে থাকেন। এজন্য তাদের ৬ মাস বা এক বছর অন্তর নির্দিষ্ট অংকের সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।

ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহী ও এটিএম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরতাল-অবরোধে নাশকতার ভয়ে নিরাপত্তা সেবা (সিকিউরিটি সার্ভিস) প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকের বুথগুলোতে টাকা পৌঁছে দিতে পারেনি। এ কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। রাজধানীর বেশিরভাগ এটিএম বুথই টাকাশূন্য হয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার গ্রাহক। শুধু রাজধানী ঢাকাই নয়, বিভাগীয় বিভিন্ন শহরের শত শত এটিএম বুথে টাকা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে এটিএম বুথে টাকা সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে। তবে এটিএম বুথে টাকার পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতেই শুক্র ও শনিবার ব্যাংকগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গ্রাহকদের অভিযোগ, বর্তমানে ১৮-দলের হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচি না থাকলেও অনেক এটিএম বুথে এখনও প্রয়োজনীয় টাকা সরবরাহ হয়নি। ফলে এখনও অনেক গ্রাহককে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বলেন, এখন অবরোধ বা হরতাল নেই। এখন যদি কোনো ব্যাংক এটিএম বুথে টাকা সরবরাহ করতে না পারে সেক্ষেত্রে আমি ওই ব্যাংকের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করব। তিনি বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধের সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু কিছু ব্যাংকের এটিএম বুথে সমস্যা ছিল। ওই সময় কোনো কোনো ব্যাংকের শাখাও বন্ধ রাখতে হয়েছে। এক্ষেত্রে টাকা বহনকারী গাড়ি ঝুঁকি নিতে পারেনি। আমরাও অনেকেই অ্যাম্বুলেন্স করে আসা যাওয়া করেছি। তিনি দাবি করেন, ওই সংকটকালীন সময়ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এটিএম গ্রাহকদের কোনো রকম ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। কারণ তারা ঝুঁকি নিয়ে শুক্রবার ও শনিবার বুথগুলোতে টাকা সরবরাহ করেছে।

এলিট ফোর্স, গ্রুপ ফোর সিকিউরিটিজ, সিকিউরেক্স, ইনটিগ্রেটেড সিকিউরিটি সার্ভিস, মানি প্লান্ট, অরনেটসহ বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সেবা প্রতিষ্ঠান ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন শাখা ও বুথে নগদ টাকা পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করে থাকে। কিন্তু সহিংস পরিস্থিতিতে কোনো নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানই কোটি কোটি টাকা আনা-নেয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি নিরাপত্তা সেবা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, হরতাল-অবরোধে ইনস্যুরেন্স কভারেজ থাকে না। তাই, ঝুঁকি নিয়ে কেউ রাস্তায় বের হতে চায় না। তিনি বলেন, ঝুঁকি নিয়ে কেউ টাকা সরবরাহ করতে গেলে যদি হামলার শিকার হন তাহলে তার দায় ব্যাংকও নেবে না। সরকারও নেবে না।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এটিএম বুথ রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের। ব্যাংকটির বর্তমানে ২ হাজার ৪০৩টি বুথ চালু রয়েছে। ওই ব্যাংকের অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল (এডিসি) বিভাগের প্রধান ইকবাল হোসেন বলেন, সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে আমাদের নোট ফিডিং (এটিএম মেশিনে টাকা ভরা) কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান আমাদের নোট ফিডিংয়ের কাজ করে তারা ঝুঁকি নিতে চায় না। এছাড়া বীমা কোম্পানিগুলোও এসব ঝুঁকির দায় নেবে না। সেজন্য সব বুথে টাকা দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, তাদের ব্যাংকের শাখার লাগোয়া বুথগুলোতে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখন এটিএম বুথে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা সাময়িক। বুথগুলোতে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি টাকা ঢোকানোর পরও দ্রুত টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মচারীকে পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। যে কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বুথগুলোতে অতিরিক্ত টাকা ঢোকানো যাচ্ছে না।

রোববারও এটিএম গ্রাহকদের টাকা তোলার জন্য এক বুথ থেকে অন্য বুথে ঘুরতে দেখা গেছে। বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই এটিএম বুথে নগদ টাকা না পেয়ে চেক বইয়ের দিকে ঝুঁকেছে। কেউ বা আবার নিজ এলাকায় এটিএম বুথে টাকা না পেয়ে আরেক এলাকায় গিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করেন। রাজধানীর কমলাপুরের রশিদ নামের এক গ্রাহক ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। পরে তিনি মতিঝিল এলাকার বুথ থেকে টাকা তুলেছেন।

একইভাবে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার আবদুস সামাদ মিরপুর সাড়ে ১০ নম্বর এলাকার ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন বুথটি নষ্ট। গুলশান এলাকার রহমান এলিজা প্রাইম ব্যাংকের বুথে টাকা তুলতে গিয়ে টাকা পাননি। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকের অনেক এটিএম বুথে বিভিন্ন সময় টাকা না থাকায় অনেক গ্রাহককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্রুত ও উন্নত সেবা পেতে এবং বাড়তি ঝামেলা এড়াতে যারা এটিএম কার্ড ব্যবহার করছেন তারাই এখন বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অ্যাকাউন্টে টাকা রেখে এটিএম কার্ড নিয়ে বুথে গিয়ে দেখছেন ব্যালেন্স নেই। হারানো অর্থ ফেরত পেতে হিসাবধারীকে আবেদনপত্র নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ব্যাংকের শাখায় শাখায়। কেউ কেউ আবার মেশিনের ত্র“টিতে ব্যালেন্স কমে যাওয়াকে নিজের ভুল ভেবে চূড়ান্তভাবেই হারিয়ে ফেলছেন টাকা। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এটিএম বুথের বিড়ম্বনা নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তৈরি করা বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিসেস ডিভিশনে ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ৪ শতাংশেরও বেশি অভিযোগ পড়েছে এটিএম বুথ সংক্রান্ত। এর আগে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন না করা সত্ত্বেও হিসাব ডেবিট হওয়া, অ্যাকাউন্টধারীর সম্মতি ছাড়া বিভিন্ন চার্জ কাটা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে বেসরকারি ও বিদেশী খাতের সাত ব্যাংকের কাছে তথ্য চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হল- বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও সিটি ব্যাংক এবং বিদেশী খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা থাকলেও সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টো। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর ম্যানেজমেন্টের যেমন অদক্ষতা রয়েছে তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও তদারকির অভাব রয়েছে। এ কারণে বর্তমানে আর্থিক খাতে এক ধরনের বিশৃংখলা চলছে। এটিএম বুথের হয়রানিও তার একটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকের ৫ হাজার ২৩২টি এটিএম বুথ রয়েছে। আর এসব বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ইস্যু করেছে ৮০ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৪টি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড। প্রতিবেদন অনুসারে দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এটিএম বুথ বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের। সারা দেশে ব্যাংকটির বুথ রয়েছে ২ হাজার ৪০৩টি। চলতি বছরের আগস্ট শেষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এটিএম বুথ রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের। ব্যাংকটির এটিএম বুথের সংখ্যা ৩৩৩টি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বুথ আছে ২৯৫টি।

এবি ব্যাংকের বুথ আছে ২৩১টি, দ্য সিটি ব্যাংকের ১৬৫টি, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের রয়েছে ১৫৬টি করে বুথ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের রয়েছে ১১৮টি, যমুনা ব্যাংকের ১১২টি, ট্রাস্ট ব্যাংকের ১১৪টি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের রয়েছে ৯৭টি করে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৯৬টি, ব্যাংক এশিয়ার ৮১টি, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৭০টি, এনসিসি ব্যাংকের ৫৭টি, আইএফআইসি ব্যাংকের ৪৮টি, ঢাকা ব্যাংকের ৪৬টি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪৪টি, এক্সিম ব্যাংক ও এইচএসবিসি ব্যাংকের ৩৯টি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৩৫টি, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৩৪টি, ওয়ান ব্যাংকের ৩০টি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২১টি, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ১৯টি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১৭টি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ১৩টি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮টি, উত্তরা ব্যাংকের ৭টি, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৬টি, হাবিব ব্যাংকের ৫টি, ব্যাংক আল-ফালাহর ৪টি এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৩টি এটিএম বুথ রয়েছে।

নতুন অনুমোদন পাওয়া ৯টি ব্যাংকের মধ্যে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৪টি বুথ ছাড়া আর কোনো ব্যাংকই এখনও বুথ খুলতে পারেনি। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ৫৭টি, জনতা ব্যাংকের ১৩টি এবং অগ্রণী ব্যাংকের ৫টি এটিএম বুথ রয়েছে। এ সারিতে থাকা রূপালী ব্যাংকের কোনো এটিএম বুথ নেই। বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ৮টি এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ রয়েছে। এ সারিতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কোনো বুথ নেই।

বিদেশী ব্যাংকের মধ্যে সিটি ব্যাংক এনএ এবং ওরি ব্যাংকের এদেশে কোনো এটিএম বুথ নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই তথ্য অনুযায়ী ৮০ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩৪টি কাডের্র মধ্যে ব্যাংকগুলো ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৫৫৪টি ডেবিট এবং ৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৮০টি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে। সবচেয়ে বেশি ডেবিট কার্ড ইস্যু করেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। তাদের ইস্যুকৃত ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি। আর সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে দ্য সিটি ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি এক লাখ ৬১ হাজার ৭৪৪টি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে। মোট এটিএম কার্ডের মধ্যে ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ১২৬টি ডেবিট এবং ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৩০টি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত ১৯৯৮ সালে বিদেশী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশে প্রথম এটিএম সেবা চালু করে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫