বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা নতুন এক গবেষণায় দেখেছেন, ৬০ বছরের কোন প্রবীণ ব্যক্তিও ইচ্ছা করলে তার ত্বককে ২০ বছর বয়সী কোন তরুণ বা তরুণীর মতো সজীব রাখতে পারেন।
বয়স বাড়ার চিরন্তন প্রক্রিয়া প্রতিহত করা না গেলেও, মনটাকে উজ্জীবিত রাখার জন্য ইয়ুথ-মেডিকেশন প্রয়োগ করা যেতে পারে। কারণ, চেহারায় পরিবর্তন এলে সেটা খুব স্বাভাবিকভাবেই মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর সেটার ছাপ পড়বে সার্বিক কর্মকাণ্ডে ও পরিবর্তিত হবে ওই ব্যক্তির লাইফ-স্টাইল বা জীবনধারণ পদ্ধতি। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা বলছেন, বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াটি একমুখী ও একতরফা হলেও, কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ইঁদুরের ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। এনএডি নামে একটি রাসায়নিক উপাদানকে কেন্দ্র করে তারা এ গবেষণাটি চালিয়েছেন। প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের সব কোষে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ এ উপাদানটি সমানুপাতিক হারে হ্রাস পেতে থাকে। ফলে, কোষের অভ্যন্তরীণ পাওয়ারস্টেশন বলে পরিচিত মাইটোকন্ড্রিয়া প্রভাবিত হয়। সেখান থেকে তুলনামূলক কম শক্তি উৎপন্ন হয় ও বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।
তাই কোষসমূহে এনএডি উপাদানটির মাত্রা যদি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা অক্ষুণœ রাখা যায়, সেক্ষেত্রে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। গবেষকরা একে দারুণ এক তথ্য বলে মন্তব্য করেছেন। এ গবেষণাটিতে ইঁদুরের কোষসমূহে এনএডির মাত্রা ঠিক রাখতে এমন মেডিকেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়, যা এনএডিতে পরিবর্তিত হয় ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। দুই বছর বয়সী একটি ইঁদুরের ওপর এক সপ্তাহ ইয়ুথ-মেডিকেশনটি চালানো হয়।
বিজ্ঞানীরা কিছুদিন পর পরিবর্তন দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়ে যান। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের জিনতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপিকা ডক্টর অ্যানা গোমেজ বলছিলেন, আরও দীর্ঘায়িত চিকিৎসায় মাংসপেশীর শক্তিও হয়তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
২০১৫ সাল থেকে গবেষক দলটি মানুষের ওপর এ পরীক্ষা চালাবে। বার্ধক্যকে কিভাবে দূরে রাখা যায়, তা জানতে এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান গবেষকরা।