বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে মুম্বই পুলিশ ২২ বছরের এক বাংলাদেশী তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রোজিনা নামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই তরুণী কাজের সন্ধানে মুম্বই গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি পড়েছিলেন দালালের খপ্পরে। এক যৌনকর্মী তাকে কামাথিপুরা নিয়ে রেখেছিল। কিন্তু বিষয়টি তিনি বুঝতে পেরে সেখান থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। রোজিনার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালি পাড়াগ্রামে। মুম্বইয়ের নাগপাড়া পুলিশ জানিয়েছে, কনস্টেবল উমেস রাতে টহল দেয়ার সময় রাত পৌনে একটার দিকে একজন নারী তার কাছে এসে বাংলায় কথা বলতে শুরু করে।
ওই কনস্টেবল তখন একজন সমাজকর্মীকে ডেকে তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ওই নারী তখন নিজের নাম, পরিচয় এবং জাতীয়তাসহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তার এক ছেলে বাংলাদেশে নানীর কাছে রয়েছে। পরিবারের ভরণ-পোষণ করতে ভাল কাজের আশায় তিনি মুম্বই চলে এসেছেন। গত ১৫ই ডিসেম্বর তিনি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। কলকাতা থেকে ১৮ই ডিসেম্বর গীতাঞ্জলি এঙপ্রেস ট্রেন যোগে মুম্বই পৌঁছান। এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরির পর রোজিনার কামাথিপুরার এক নারীর সঙ্গে কথা হয়। ওই নারী বাংলা জানতেন বলে রোজিনাকে তিনি তার সঙ্গে কাজ না পাওয়া পর্যন্ত থাকতে বলেন।
রোববার রোজিনা ওই নারীর সঙ্গে বাইরে খাবার কিনতে বেরিয়ে ছিলেন। তখন তিনি দেখেন নারীরা রাস্তায় এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। জায়গা ভাল নয় বিবেচনা করে তিনি বাড়ি ফিরে যাওয়ার মনঃস্থির করেন। এরপর তিনি ওই কনস্টেবলের সঙ্গে কথা বলেন। তার কাছে বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি রোজিনার মাকে জানানো হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত সে পুলিশের হেফাজতেই থাকবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।