স্টাফ রিপোর্টার ॥ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র। অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা এবং অর্ধেকের বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জেন সাকি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এর আগে কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল।
বিবৃতিতে জেন সাকি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় সংসদের অর্ধেকেরও বেশি আসন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নিরাশ। নির্বাচন আয়োজনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। এই পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের জন্য পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। আমরা আমাদের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠাতে তৈরি আছি যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়।’
এর আগে রোববার কমনওয়েলথ মহাসচিব এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, এ নির্বাচনে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না।
কমনওয়েলথ মহাসচিব কমলেশ শর্মার চিঠিতে বলা হয়, ‘নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ এবং পরিবেশ না থাকায় তারা আসন্ন সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না।’
গত ২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে কমনওয়েলথ মহাসচিবের কাছে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক ও নিরাপত্তা নীতিমালা সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি ক্যাথরিন অ্যাস্টন পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তর থেকে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব দলের অংশগ্রহণে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম করার মতো রাজনৈতিক পরিস্থিতি থাকলেই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে তৈরি আছে ইইউ।’
জাতিসংঘের উদ্যোগ সত্ত্বেও সব দলের অংশগ্রহণে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয় শর্তপূরণে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর ব্যর্থতার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন অ্যাস্টন। তিনি সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক মত প্রকাশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে তাগিদ দিয়েছেন।
ইইউর বিবৃতির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তাদের আসা না আসার উপর আমাদের কোনো জোর নেই। পর্যবেক্ষণ করা যার যার বিষয়। আমি মনে করি, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হলে অনেকেই পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন।’