স্পোর্টস ডেস্ক ॥ বেশ কিছু দিন হলো ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে শীতল সম্পর্ক কাটিয়ে উঠেছেন সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব। বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের কার্যক্রমে। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের বিসিসিআইয়ের সিকে নাইডু আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন কপিল দেব। ভারতের ২১তম ক্রিকেটার হিসেবে কপিল দেব এ স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন। ১৯৯৪ সালে লালা অমর নাথকে দিয়ে এ সম্মাননার প্রচলন করা হয়েছিল।
১৯৭৮ সালের ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর কপিল দেব খেলেছেন ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১৩১টি টেস্ট এবং ২২৫টি ওয়ানডে খেলেন। তার নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে ভারত ক্রিকেটে প্রথম বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল। এছাড়াও অনেক রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তিনি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ‘ডাবল’ পূর্ণ করেছিলেন (৫ হাজার রান এবং ৪০০ উইকেট)। অবসরের আগে তিনি ৪৩৪ উইকেট শিকার করেছিলেন। যা কয়েক বছর টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড ছিল।
অবসরের পর ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ভারতের কোচ ছিলেন কপিল দেব। তিনি ২০০৬-৭ মৌসুমে ব্যাঙ্গালুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ২০০৭ সালের শেষে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি জি-স্পোর্টসের সঙ্গে যোগ দিয়ে বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএল আয়োজন করেছিলেন। আইসিএলকে রুখতে গিয়ে বিসিসিআই আইপিএলের প্রবর্তন করে। কিন্তু কপিল দেবকে আইসিএল ছাড়া করতে পারছিল না। ২০১২ সালের জুলাইয়ে আইসিএলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিসিসিআইয়ের পতাকাতলে শামিল হন কপিল দেব। তাতেই বিসিসিআই সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে কপিল দেবকে দেড় কোটি রুপি অনুদান দেয়।
বিসিসিআইয়ের সঙ্গে ফেরা প্রসঙ্গে কপিল দেব বলেছেন, ‘বিসিসিআই ভারতীয় ক্রিকেটের বাবা-মা এবং আমরা সন্তানতুল্য। অতীতে ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ক্রিকেটারদের জন্য আমি অনেক কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও তা করার ইচ্ছে আমার রয়েছে।’