স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘আমাকে ক্ষমা করবেন । আমি কান ধরে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। শুধু এখানে নয় সব স্থানে গিয়ে আমাকে সবার প্রথম ক্ষমা চাইতে হয়। শুধু ওনার(এমপি কবরী) জন্য।
আমি জানি আপনাদের অনেক ক্ষোভ। আমার কথায় আপনারা তাকে ভোট দিয়েছেন। দেখেন আমি আমার নেত্রীকে আমার মায়ের মত ভালোবাসি। সে আমাকে ছেলের মত ভালোবাসে। মায়ের কথা আমি কোনদিন ফেলতে পারি নাই পারবো ও না। আপনারা তো আমাকে সন্তানের মত ভালোবাসেন। এ জন্যই তো আমি নেত্রীর কথায় ও আপনারা আমার কথায় তাকে ভোট দিয়েছেন। এমপি বানিয়েছেন। এরাই হচ্ছে আওয়ামীলীগের কর্মী। নির্যাতিত ও নিপীড়িত হবে। আর যখন দল ডাক দেবে। সকল অভিমান ভুলে যাবে। নেত্রী যা বলেন আমরা তা-ই মাথা পেতে নেই ও নেব। আপনাদেরকে বলতে চাই আমৃত্যু নেত্রীর নির্দেশ মেনে চলবো।’
এভাবে কথাগুলো বলার এক পর্যায়ে এমপি সারাহ বেগম কবরীর কর্মের জন্য কান ধরে ক্ষমা চান নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত আওয়ামীলীগের এমপি শামীম ওসমান।
১৬ ডিসেম্বর সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতল্লার পূর্ব ইসদাইর এলাকায় স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংগঠন স্বাধীন বাংলা সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আবুল বাসার। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোশরাফ উদ্দিন মাসুম।
উল্লেখ্য, সভায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা এমপির কবরীর লোকজনের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় শামীম ওসমান বয়োজোষ্ঠ্যদের কাছে এমপি কবরীর কর্মকান্ডের জন্য কান ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক মো: ইউসুফ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল প্রমুখ।