বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের সাহায্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বিবি)। ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শককে চিঠি দেয়া হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছে- দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ও শাখার সুরক্ষাসহ ব্যাংকিং কার্যক্রম নিবিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে অনুরোধ করা হল। গত ফেব্র“য়ারি থেকে সারা দেশে চলমান নাশকতার মধ্যে ব্যাংক খাতও আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান দুই দলের মতবিরোধে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে মাস দুয়েক আগ থেকে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধে সারা দেশে নতুন করে সংঘাত-সহিংসতা সৃষ্টি হয়। প্রায় প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটছে।
এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক পুলিশের মহাপরিদর্শককে চিঠি দেয়। স্থাপনা সুরক্ষাসহ ব্যাংকের বার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেও পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৫৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মোট শাখা রয়েছে ৮ হাজার ৪২৭টি। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে শাখা রয়েছে ৪ হাজার ৮২৭টি এবং শহরে রয়েছে ৩ হাজার ৬০০টি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় খাতের চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৯৯টি।
আর বেসরকারি মালিকানার ৩৭টি ব্যাংকের গ্রাম ও শহর ভিত্তিতে মোট ৩ হাজার ৩৮৮টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামভিত্তিক ১ হাজার ২৮০টি ও শহরকেন্দ্রিক ২ হাজার ৯৬টি। তবে এর মধ্যে নতুন অনুমোদন পাওয়া সাত ব্যাংক শুধু শহর ভিত্তিতেই শাখা খুলেছে। একই সময়ে সরকারের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর শাখা রয়েছে ১ হাজার ৪৭৬টি। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০টি রয়েছে গ্রামে এবং ১৭৬টি রয়েছে শহরে। বিদেশী মালিকানার ব্যাংকগুলোর মোট শাখা ৬৬টি যার সবই শহরে অবস্থিত। পাশাপাশি তফসিলভুক্ত নয় এমন জাতীয় সমবায় ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও গ্রামীণ ব্যাংকও রয়েছে।