বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ নস্টালজিক মানুষেরা ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য বের হয়ে এসেছে। ওই গবেষণায় বলা হয়, নস্টালজিয়া শুধুমাত্র অতীতকেন্দ্রীক আবেগের প্রকাশই নয়, বরং তা ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠতে উদ্বুদ্ধ করে।
ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের গবেষক ড. টিম ওয়াইল্ডসচাট বলেন, ‘বস্তুত নস্টালজিয়া সবার জীবনেই বার বার ফিরে আসে যা অস্থির মনটাকে শান্তিময় অনুভূতি দেয়। এই ভাবাবেশ মানুষের একাকীত্বের সঙ্গী হয়ে দেখা দেয়’।
‘এই ভাবাবেগ ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের আশা দিতে পারে কিনা তা পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা’, জানালেন ওয়াইল্ডসচাট।
এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের যার যার নস্টালজিক ঘটনাগুলো মনে করে তা লিখতে বলা হয়। অন্য একটি দলকে একটি নির্দিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে লিখতে বলা হয়েছিল। এই দুই দলের লিখনীর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। দেখা যায়, নস্টালজিক ঘটনা নিয়ে যারা লিখেছেন তাদের রচনায় আশাবাদী মনোভাব তীব্র ছিলো।
অন্য এক পরীক্ষায় এক দলকে নস্টালজিক গান শোনানো হয়। আরেক দলকে শোনানো হয় সাধারণ গান। এরপর তাদের কিছু প্রশ্ন করা হয়। নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত মানুষেরা আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। অন্যদিকে যে দলটি সাধারণ গান শুনেছিলো তারা ছিলো নস্টালজিকদের তুলনায় রীতিমতো নৈরাশ্যবাদী।
ওয়াইল্ডসচাট বললেন, ‘নস্টালজিয়া মানুষের মনকে আশার আলোয় উদ্ভাসিত করে তোলে। ফলে ভবিষ্যত নিয়ে তাদের সব নিরাশা দুরীভূত হয়। অতীতের স্মৃতি নিজের কাছে মানুষকে আরো মূল্যবান করে তোলে। কাজেই নস্টালজিয়ার মাধ্যমে মানুষের মানসিকতাকে আশাবাদের দোলায় আন্দোলিত করা যায়’। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস