শুধু লম্বা কিংবা হ্যান্ডসাম নয়, আরো কিছু পুরুষালি ব্যাপার রয়েছে, যা পুরুষের প্রতি নারীর আকর্ষণ তৈরি করে। এ জন্য পরিবর্তন করতে হবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গীও। এছাড়া আপনার মাঝে শারীরিক ক্ষমতার পাশাপাশি আবেগের ছোঁয়াও থাকতে হবে। এখানে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হল।
সাজানো-গোছানো
নিজেকে উপস্থাপনের জন্য লম্বা হওয়াটাই মুখ্য বিষয় নয়। লক্ষ রাখুন প্রিয় মানুষটি কী চায়। মেয়েরা এক্ষেত্রে গভীরভাবে তার প্রিয় মানুষটির মাঝে একজন ‘সুপুরুষ’ খোঁজেন। মেয়েরা বিশ্বাস করে, আপনি যদি নিজের প্রতি ‘কেয়ারফুল’ থাকেন তাহলেই তার প্রতিও ‘কেয়ারফুল’ হতে পারবেন। তাই মনে রাখতে হবে, ইস্ত্রি ছাড়া পোশাক, অগোছালো চুল, নখের ময়লা, গন্ধযুক্ত মোজা, ময়লা শার্ট অথবা প্যান্ট এগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।এভাবেই একজন নারীকে ‘অভিভূত’ করতে পারবেন।
স্টাইল সম্পর্কে ধারণা
আপনি কেমন দামের পোশাক পরেছেন, নারীরা কিন্তু এই ব্যাপারটা ভালোই বোঝেন। যদি ফুটপাথ থেকে কোনো পোশাক কেনেন, তাহলে তাহলে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন সেটা আপনার স্টাইলের সঙ্গে মানিয়ে যায় কি না। নারীরা কখনোই সিনেমার নায়কদের অনুকরণীয় পোশাক পছন্দ করে না। তবে তাদের কিছু ব্যাপার অনুকরণ করা যেতে পারে, যা আপনার স্টাইল বাড়িয়ে দেবে। সবসময় আধুনিকতার ছোঁয়ায় নিজেকে ধরে রাখতে হবে। আপনার সংগ্রহে সন্যাস পোশাকও থাকতে পারে। তবে এটা পরে নারীর সামনে আসা যাবে না। কেননা নারীরা অফিসিয়াল পোশাকে যেমন বিরক্ত হয় তেমনি এ ধরনের উদ্ভট পোশাকেও বিরক্ত হয়।
উপহাস নয়
উপহাসের ব্যাপারে নারীদের ‘সেন্স অফ হিউমার’ প্রবল– এটা গভীরভাবে খেয়াল রাখতে হবে। মেয়েরা তাদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করতে চায়। কিন্তু এমন মানুষ চায় না, যে নিজেই হতাশায় নিমজ্জিত। হ্যাঁ আপনার বাজে দিন আসতেই পারে। আপনার যদি সেন্স অফ হিউমার থাকে থাকে, তাহলে এ সমস্যা অনেক দূরে সরিয়ে দিতে পারবেন। যদি কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানোর ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনাকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সারাক্ষণ অন্যকে নিয়ে মজা করা যাবে না, নিজের ভুলভ্রান্তির দিকেও তাকাতে হবে। এটা এখনো বলা সম্ভব নয় যে, নারীরা হাস্যোজ্জ্বল মানুষকে কতটা ভালোবাসতে পারে।
দেখাতে হবে আপনি যতœশীল
নারীর এই প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে যে আপনি ভালোবাসতেও পারেন একই সাথে তার প্রতি অত্যন্ত যতœশীল ও মনোযোগী। যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, একসাথে সূর্যাস্ত দেখছেন, তখন আলতো করে প্রিয়জনের হাত ধরে রাখা দরকার। সে নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারছে কি না, সেটা দেখাও একটা পয়েন্ট। এর অর্থ আপনি তার প্রতি লক্ষ রাখেন। তবে ভুল করেও জনসম্মুখে ভালোবাসা দেখানো যাবে না, এতে করে সে লজ্জিত হবে। ভালোবাসা যখন দেখাবেন, তখন অন্তত অভদ্রভাবে সেটা করা যাবে না।
চোখের পাতার ভাঁজে প্রণয়ের হাসি
মেয়েদের মন কখন বিগলিত হয়, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অনেকভাবেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তাকে সুশোভিত করা যায়। নামি অভিনেতাদের মতো করে ঠোঁটের কোনে ভালোবাসামিশ্রিত হাসি নিয়ে আসতে হবে। কিংবা চোখের পাতার ভাঁজে অপূর্ব ভালোবাসার ঝলক দেখিয়ে প্রিয় মানুষটিকে মোহিত করে ফেলা যাবে। এটা তাকে অবর্ণনীয় সুখী করবে। সে হয়তো মনে করবে আহ! পৃথিবীতে আমার মত সুখী ক’জন আছে!
প্রয়োজন স্থিরতা
নারীদের ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রে জমিতে হালচাষ দেয়ার মতোই সাময়িক। তারা ভালোবাসা পেলে আপনার দিকে হেলে পড়বে। তখন আপনার দরকার জীবনে স্থিরতা আনা। যদি আপনি এই সময়টির সদ্ব্যবহার করতে না পারেন বা এই চাপ সহ্য করতে সমস্যা হয়, তাহলে মুহূর্তেই হয়ত আপনাকে ছিটকে পড়তে হবে। একান্ত সময়ে যৌন আবেদনও মিথ্যে হয়ে যেতে পারে আপনার আচরণে। নারীরা সঙ্গীকে ঠাণ্ডা মাথায় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। যদি আপনি সেই বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন, তাহলে আপনার প্রতি তার আস্থা জন্মাবে।