বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে চলছে ‘মানবাধিকার দিবস থেকে বিজয় দিবস’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী বিজয় উত্সব। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের আয়োজনেও ছিল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গতকাল স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী। এরপর ছিল ‘ডকুমেন্টস অব হাইডেলবার্গ কনফারেন্স অন বাংলাদেশ জেনোসাইড এন্ড ইস্যু অব জাস্টিস’ শিরোনামের বইয়ের প্রকাশনা। গ্রন্থটি নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মুনতাসীর মামুন। এরপর বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে সংবৃতা আবৃত্তি চর্চা ও বিকাশ কেন্দ্রের বাকশিল্পীরা। তারা ‘রক্তবিন্দু ছুঁয়ে সম্মুখের ইতিহাস’ শিরোনামের আবৃত্তি প্রযোজনা পরিবেশন করেন। প্রযোজনাটি গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন জালালউদ্দিন ভুঁইয়া। এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। সবশেষে রংপুরের মহেল চন্দ্র রায় ও কছিম উদ্দিনের একাত্তরের লোকসংগীত ও ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করে মো. এরফান হোসেন ও তার দল। তাদের পরিবেশিত গানের মধ্যে রয়েছে মহেশচন্দ্র রায়ের ‘হামরা গিল বীর বাঙ্গালী’, কছিম উদ্দিনের ‘ওকি বাপরে বাপ/মুক্তিফৌজ কি যুদ্ধ করে বাপরে’ ইত্যাদি।
আজ শুক্রবার চতুর্থ দিনের উত্সব দুই ভাগে বিভক্ত। সকালে নির্মীয়মান নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভবনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মারক প্রদান করবেন ল্যারি হেইলম্যান, মেরি ফ্রান্সিস ডানহাম ও ড্যান কলিন। বিকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণের আয়োজন শুরু হবে ‘একাত্তরের নারী নির্যাতন ও আমাদের কর্তব্য’ শীর্ষক আলোচনার মধ্য দিয়ে। এরপর দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, দলীয় সংগীত পরিবেশন করবে বহ্নিশিখা এবং ‘বিদেহ’ শিরোনামের পথনাটক পরিবেশন করবে শিল্পকলা একাডেমী।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর শেষ হবে এ উত্সব। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর থেকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পাশাপাশি মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠে অনুষ্ঠিত হবে এ উত্সব।
শিল্পকলার আয়োজন :বিজয় দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনের বিজয় উত্সব। ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৫টায় একাডেমীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে এ উত্সব অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ ডিসেম্বর উত্সবের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। প্রতিদিনই থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।