বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হচ্ছে আগামী ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে। এর মধ্যে ২৫০ মেগাওয়াট আসবে সে দেশের সরকারি খাত থেকে। আর ২৫০ মেগাওয়াট বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছ থেকে আনা হচ্ছে।
গত ৫ অক্টোবর ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। সেদিন থেকে সরকারি খাতের ১৭০ থেকে ১৭৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছিল। সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে এত দিন এর বেশি বিদ্যুৎ আনা সম্ভব হয়নি।
ইতিমধ্যে সঞ্চালনব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সব যন্ত্রপাতি বসানো শেষ হয়েছে। এই কাজের অংশ হিসেবে ২৫ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির সমগ্র ব্যবস্থাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ শনিবার পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে। আগামীকাল রোববার থেকে আবার ১৭০-১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করা হবে।
বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন বলেন, আগামী মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ানো হবে। মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত এভাবে পরীক্ষামূলক সঞ্চালন চলবে। তাতে সবকিছু ঠিক থাকলে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হতে থাকবে। এর ফলে দেশে ডিজেল ও ফার্নেস তেলচালিত কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন কমিয়ে আর্থিক সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের আমলে স্থাপিত ৫৭টিসহ দেশে এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৪। এই কেন্দ্রগুলোর মোট স্থাপিত ক্ষমতা নয় হাজার ৭১৩ মেগাওয়াট। এর সঙ্গে আমদানি করা ৫০০ মেগাওয়াট যুক্ত করা হলে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দাঁড়ায় ১০ হাজার ২১৩ মেগাওয়াট।
স্থাপিত ক্ষমতা ছাড়াও এই আমদানির মাধ্যমে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়বে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে গত ১২ জুলাই রাত আটটায়, ছয় হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট। আসন্ন সেচ ও আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রয়োজনীয় জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত হলে তা প্রায় আট হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হতে পারে। কারণ, এই সময়ে আরও কয়েকটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা।
বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে রেকর্ড পরিমাণ অগ্রগতি হয়েছে। ইতিমধ্যে মোট চার হাজার ৭৭১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৭টি নতুন কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। আরও ছয় হাজার ৪৭১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি কেন্দ্র নির্মাণাধীন। এ বছরের মধ্যে আরও প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা।