অবরোধ ডেকে নেতারা ‘উধাও’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি নেতারা নিজেরাই ‘উধাও’ হয়ে গেছেন। রাজপথ তো দূরের কথা, বাসায়ও থাকছেন না তারা। মোবাইলেও তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারছেন না কেউ।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ৭১ ঘণ্টা রাজপথ রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট।

জোটের প্রধান শরিক বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মওদুদ আহমেদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব কারাগারে রয়েছেন।

ঢাকার আন্দোলন চাঙ্গা করতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে দায়িত্ব পাওয়া ৮ মহারথীর একজন ৯০ এর ছাত্র আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো নেতা বর্তমানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকে অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর আমিনবাজারে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেলেও দ্বিতীয় দিন থেকে তার হদিস নেই।
অপর মহারথী হান্নান শাহ জেলে রয়েছেন। বাকিদের মাঠে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না।

দপ্তরে ‘অবরুদ্ধ’ থেকে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সারা দেশের আন্দোলন কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করলেও অন্যরা কে কোথায় আছেন সেটা স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার এড়াতে ‘আত্মগোপনের কৌশল’ অবলম্বন করছেন।

দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অবস্থান সম্পর্কে রিজভী আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তিনি (মির্জা আলমগীর) আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তার পক্ষ থেকে আমি কথা বলছি।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির অন্য নেতাদের সঙ্গে সংবাদকর্মীরাও সহজে যোগাযোগ করতে পারছেন না। অবরোধের শুরু থেকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

নেতাদের ঘনিষ্ট ২/১ জনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে খোঁজখবর জানতে চাইলে তারা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সময় হলে দেখতে পাবেন। বোঝেনই তো।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধূরী এ্যানী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজ্জামেল হক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলে মোবাইলে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইলগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের ও ড. আব্দুল মঈন খানের মোবাইল খোলা পাওয়া গেছে। তবে বার বার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫