সম্পর্ক ভাঙ্গার পাঁচ কারণ

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সম্পক্র্ এক ভাঙ্গা গড়ার খেলা। বিয়ের কুড়ি বসন্ত পার করেও অনেকের সম্পর্ক ভাঙ্গে। আবার অনেকে যুগের পর যুগ সঙ্গীর সঙ্গে থাকেন পরম বিশ্বস্ততার সাথে। কিছু কিছু সম্পক্র্ নিছক ঠুনকো অনেক কারণে ভেঙ্গে যায়। সম্প্রতি হাফিংটন পোস্ট বেশিরভাগ সম্পক্র্ ভাঙ্গার পাঁচটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম পাঠকদের জন্য সেটাই অনুদিত হল—

সঙ্গীকে সময় না দেয়া:

অনেকে আছেন যারা বেশিরভাগ সময়ই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সঙ্গীকে সময় দেয়ার বিষয় অনেকে ভাবেনই না। তবে মানুষের জীবনে অর্থের প্রয়োজন অনস্বীকার্য কিন্তু সম্পর্কের গুরুত্বও কোনো অংশে কম নয়। অফিসের কাজ অফিসেই সেরে আসুন। আর বাসায় ফিরে সময় দিন আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে। তাকে নিয়ে মাঝে মাঝেই ঘুরতে চলে যান দূরে কোথাও।

সবসময় দু:খ প্রকাশ নয়:

সম্পক্র্ মানে এটা নয় যে সবসময়ই শুধু দু:খ প্রকাশ করতে হবে। দুটি মানুষ একটি সম্পর্কে বাঁধা থাকলে ছোট খাটো অনেক বিষয় নিয়েই মনোমালিন্য হতে পারে। এধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে শুধু একজনের নয় দুজনেরই ক্ষমাশীল হতে হবে। কারণ ছোট খাটো ভুল গুলোকে ক্ষমা না করে দিলে সেগুলোই ধীরে ধীরে সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। তবে অনেক সময় ছোট খাট মনোমালিন্য ঘটতেই পারে। তাই অতিরিক্ত দু:খ প্রকাশ করলে একজনের প্রতি অন্যজনের আস্থা হারায়। কারন দু:খ প্রকাশ করাকে কখনোই সঙ্গীর কাছে সস্তা করা ঠিক নয়। তাই এটাকে তুলে রাখুন, আর মাঝে মাঝে এটার ব্যবহার করুন।

বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে জড়ানো:

সম্পক্র্ একটি বিশ্বস্ততার বিষয়। এক্ষেত্রে একজন অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্ক্র বিষয়টিকে সম্মান করতে হবে। এাড়াও বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক রাখাট্ওা অনৈতিক। বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের কারণে সংসার ও সম্পক্র্ ভেঙ্গে যায়।অনেকে আবার সঙ্গীর উপর আস্থা রাখতে পারে না। সন্দেহ করে। সঙ্গীর উপর আপনি আস্থা রাখতে না পারলে সেও আপনাকে সম্মান করতে পারবে না। আর আরেকটি কথা মনে রাখা ভালো যে কাউকে জোর করে সম্পর্কের জালে বেঁধে রাখা যায় না। বরং তাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে তার ভালোবাসা জেতার চেষ্টা করুন।

সম্পর্ক ভাঙ্গার পাঁচ কারণ

অবহেলা করা

কোনো ক্ষেত্রেই সঙ্গীকে অবহেলা করা ঠিক হবে না। কারণ সঙ্গী যদি কখনো বুঝতে পারে যে তাকে অবহেলা করা হচ্ছে তাহলে সম্পর্কে চির ধরবে। তাই সকল ক্ষেত্রেই সঙ্গীর মতামত নিন ও মতামতের গুরুত্ব দিন। কোনো বিষয়ে দুজনে এক মত হতে না পারলেও তাকে বুঝিয়ে বলুন কেন একমত হতে পারছেন না। তাহলে দুজনের সুন্দর সম্পর্ক অটুট থাকবে।

ভালোবাসি কথাটা না বলা:

আপনার সঙ্গী হয়তো আপনাকে ভালোবাসি বলল। আপনি ধরেই নিলেন আপনার সঙ্গী আপনাকে খুব ভালোবাসে। আপনি ভাবলেন সেতো আপনাকে ভালোবাসেই তাই আপনার তাঁকে ভালোবাসি কথাটা না বললেও চলবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে তাঁর কাছ থেকে ভালোবাসি শব্দটি শুনতে আপনার যেমন ভালো লেগেছিল সেও আপনার কাছ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনতে চাই। তাই সঙ্গীকে ভালোবাসি কথাটা বলতে কার্প্ন না করে বারবার বলুন ভালোবাসি।

শেষ কথা:

সুতরাং ঠুনকো বিষয়ে সম্পক্র্ না ভেঙ্গে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিন। আর ভালো থাকুন সঙ্গীকে নিয়ে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫