বাংরাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়েছে ইরান ও পশ্চিমা বিশ্ব। জেনেভা সম্মেলনে চুক্তিতে পৌছাতে না পারার কারণ হিসেবে, একে অপরকে দুষছে দুপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান ছাড়া সবাই চুক্তিতে একমত ছিলো। এর সমালোচনা করেছে ইরান। এদিকে, পরমাণু কর্মসূচীতে নজরদারি বাড়াতে ঐকমত্যে পৌছেছে ইরান ও আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা।
পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের বিরোধ পুরোনো। পশ্চিমাদের অভিযোগ, ইরান পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে। বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে ইরান। এ পরিস্থিতিতে, পরমাণু কর্মসূচী খতিয়ে দেখতে চায় জাতিসংঘের আনবিক শক্তি সংস্থা। অবশেষে সংস্থার পরিদর্শকদের জন্য, কিছুটা ছাড় দিতে রাজি হয়েছে ইরান।
ইরানের আনবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলি আকবর সালেহি বলেন,” আনবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে না এলেও, পরিদর্শনের জন্য ইরান প্রস্তুত। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ আমাদের সে অনুমতি দিয়েছে। পরিদর্শকরা আরাকের পরমাণু কেন্দ্র, বন্দর আব্বাসে ঘাচিন খনি খতিয়ে দেখতে পারবেন।”
শুধু পরিদর্শন নয়, পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে, বিশ্ব পরাশক্তিদের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে, সম্প্রতি জেনেভায় বৈঠকে বসে ইরান। আশা করা হচ্ছিলো, দুপক্ষের মধ্যে এই বৈঠকেই একটি চুক্তি হতে পারে।
তা না হওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির দাবি, সবাই চুক্তির বিষয়গুলোতে একমত থাকলেও, ইরানই তাতে বাগড়া দিয়েছে।
জন কেরির বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেনি ইরান। এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কেরির নেতিবাচক বক্তব্যে, সমঝোতায় পৌছানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জেনেভা বৈঠকের পর, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি স্মরণ করিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই, পরমাণু সমৃদ্ধকরণের অধিকার চর্চা করছে ইরান। আর সে কর্মসূচী থেকে সরে আসার পরিকল্পনা তাদের নেই।