স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্লেষকদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী কোনো মন্ত্রী পদত্যাগ করা মাত্রই তা কার্যকর হবার কথা। সেদিক থেকে মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পরও দায়িত্ব পালন করার বিষয়টিকে তারা আখ্যা দিলেন সংবিধানের লঙ্ঘন হিসেবে।
তবে বিশ্লেষকদের মধ্যে এমন অভিমতও আছে যে, মন্ত্রীদের জমা দেয়া পদত্যাগপত্রে কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। সেই কারণে মন্ত্রীরা এখনও দায়িত্ব পালন করতেই পারেন।
এমন বির্তকের মধ্যে বিএনপির র্শীষ নেতারা মনে করছেন পদত্যাগের বিষয়টি মানুষকে ধোকা দেয়ার কৌশলমাত্র।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, তারিখ উল্লেখ না করে মন্ত্রীদের পদত্যাগ জমা দেয়ার বিষয়টি একটি সাজানো নাটক। এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে.(অব:) মাহাবুবুর রহমান বলেন- মন্ত্রীরা পদত্যাগ করছে, সিডিউল ঘোষণার কথা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে। কিন্তু অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টির ব্যাপারে জনগণ এখনো কিছুই জানতে পারছে না। তবে তিনি মনে করেন, সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব এখনো সম্ভব।
সোমবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিএনপি চেয়্যারপার্সনের সঙ্গে দেখা করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সরকারের তরফ থেকে সাড়া পেলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিতে প্রস্তুত রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
এই ব্যাপারে মাহাবুবুর রহমান বলেন, সব কিছুই নির্ভর করছে সরকারের উপর।
পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে হরতালের পরিবর্তে টানা অবরোধের কর্মসূচি আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন বিএনপি এই দুই নেতা।