স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টার হরতালে বদলে গেছে চিরচেনা ঢাকা শহর। অন্যান্য হরতালের তুলনায় রোববার বাস মিনিবাস, টেম্পু এমনকি সিএনজি চলাচল করেছে খুবই কম। প্রাইভেট কার রাস্তায় নামেনি। সকাল থেকেই ফাঁকা ছিলো রাজপথ। ফলে হরতালে রাজধানীর ভিআইপি সড়কগুলো এখন রিকশার দখলে চলে যায়।
রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো ফাঁকা। দুরপাল্লার বাস ছাড়েনি। যাত্রীও খুব একটা চোখে পড়েনি। নির্দিষ্ট রুটের বাসগুলোও চলাচল করেছে খুব কম। আগের হরতালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা সাভার এবং ঢাকা গাজীপুর রুটে বাস চলাচল করতো। কিন্তু রোববার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৫টি ও নারায়ণগঞ্জে ৪টি বাসে আগুণ দেয় পিকেটাররা। এরফলে কেউ বাস রাস্তায় নামানোর সাহস পায়নি। হরতালের সময় রোববার কল্যাণপুর বিআরটিসির বাস ডিপোতে দৃব্ত্তৃরা আগুন দিয়ে ৫টি বাস পুড়ে যায়। এতে ঐ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গাবতলী-মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পিকারদের রাস্তায় দেখা না গেলেও চোরাগোপ্তা হামলার ভয়ে যানবাহন রাস্তায় নামেনি বলে জানা গেছে।
সকাল থেকেই ঢাকার ভিআইপি সড়ক কাজী নজরুর ইসলাম এ্িভনিউ, নিউমার্কেট-মিরপুর সড়ক এবং বিমানবন্দর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে যন্ত্রচালিত যানবাহন কম চলাচলের সুযোগে রিকশা জায়গা দখল করে নিয়েছে। অনেকেই বাস বা সিএনজি না পেয়ে মিরপুর থেকেই মতিঝিলে এসেছেন রিকশায় চেপে। ফার্মগেট থেকে ইয়ারপোর্টেও রিক্সা চলাচল করেছে। এজন্য অনান্য দিনের তুলনায় রোববার রাজধানীতে রিকশার সংখ্যাও ছিলো অনেক বেশী। সরকারের শেষ সময়ে এসে বাস মালিকরা ঝুকি নিতে চাননি। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি শনিবার পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হরতালে গাড়ি চালানোর ঘোষণা দিলেও কোন নেতার বাস রাস্তায় বের হয়নি। হাতে গোনা কয়েকটি বাস চলাচল করেছে। মতিঝিল পাড়াও ছিল ফাঁকা ফাঁকা। আগের হরতাল গুলোতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির সংখ্যাত রাজপথে বাড়তে দেখা গেলেও রোববার একেবারেই ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা গেছে। বিকেলের পর রাজধানী আরো ফাঁকা হয়ে যায়।
হরতালের কারণে রাজধানীর স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মার্কেট বন্ধ থাকার রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাসা থেকে বের হননি।
হরতালের যানবাহন কম থাকার সুযোগে রিক্সাচালকদের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।