স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুক্রবার থেকে সরকারকে মৃত ঘোষণা করে দাফনের জন্য আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ২৫ অক্টোবরের পর থেকে সরকারের কোনো বৈধতা নেই। সরকার আজ থেকে মৃত, সেই সঙ্গে হাসিনারও মরণ হয়েছে। সরকার এখন হিমঘরে রয়েছে। দেশনেত্রী (খালেদা জিয়া) আগামী ৭ নভেম্বর চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাফন সম্পন্ন করবেন।’
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার চট্টগ্রামের কাজির দেউড়িতে ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দুপর ২টায় এ সমাবেশে শুরু হয়ে চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।
নগর বিএনপির সভাপতি বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে সরকার। সভা, সমাবেশ ও মিছিলের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। যাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে সেই জনগণই এ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। সরকার হিমঘরে আছে আর আমরা থাকবো রাজপথে।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ২৫ অক্টোবর থেকে হাসিনা সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। দেশবাসী আজ থেকে আইনের শাসন মানবে কিন্তু শেখ হাসিনার অবৈধ শাসন মানবে না।
নোমান বলেন, আজকের সমাবেশ জনসমাবেশকে ছাড়িয়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে। আর গণঅভ্যুত্থান কোনো আইন মানে না। সরকার তাই এই গণঅভ্যুত্থানে ঠিকতে পারবে না।
করে নোমান বলেন, ‘দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সরকারকে তালাক দিয়েছে। তাকে এমন তালাক দিয়েছে সেটি এক তালাক, দুই তালাক নয়, একেবারে তিন তালাক।