স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাড়তি টোল আদায়ের অভিযোগে দু’দিন আগে উদ্বোধন হওয়া মেয়র মোহাম্মদ হানিফ (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ি) ফ্লাইওভার ব্যবহার করছেন না যানবাহন চালকরা। ফ্লাইওভার ফাঁকা থাকলেও এর নিচে রাস্তায় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকছে গাড়িগুলো। তবে নির্ধারিত টোল থেকে বেশি টাকা আদায় করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ।
রোববার দেখা যায়- মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখ থেকে ঘুরে যাচ্ছে বাস। সারি সারি গাড়ি আগের মতোই চলাচল করায় অবস্থার পরিবর্তন হয়নি নিচের সড়কের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই যানজটের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকছে গাড়িগুলো। এ কারণে প্রায় যানবাহনশূন্য ফ্লাইওভার। শনিবার ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকেই এর টোল হার নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
গাড়ি চালকদের বক্তব্য- উদ্বোধনের দিন সিটি করপোরেশনের দেয়া হারে দেখানো হয়েছে ছোট থেকে ১৪ চাকার গাড়ি জন্য টোল যথাক্রমে পাঁচ থেকে ২০০ টাকা। শনিবার থেকে প্রতিটি বাহনেই নেয়া হচ্ছিল তার দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা। তাই ফ্লাইওভার ব্যবহার করছে না চালকরা।
গাড়ির এক চালক জানালেন, একটি মিনিবাসে টোল নেয়া হচ্ছে ২৬০ টাকা। অনেক সময় ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী নিয়ে এ বাস চলাচল করে। তখন এ পরিমাণ টাকা দেয়া সম্ভব না।
তবে নির্ধারিত টোল থেকে বেশি টাকা আদায় করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আফজাল খান বলেন, প্রথম দিন থেকে যে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে তাই নেয়া হচ্ছে। সফটওয়ারের মাধ্যমে এই টোল আদায় করা হচ্ছে। কোনো ধরনের কারসাজির আশ্রয় নেয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে প্রথমবারের মতো সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত এই ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে মোট ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ১০৮ কোটি টাকা। ঢাকা সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এই ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে। ২০১০ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।