বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আবারও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন।
শনিবার চায়না-বাংলাদেশ স্ট্যাডি গ্রুপের আয়োজনে জাতীয় প্রেসকাবে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে এক আলোচনায় লি জুন এ আহ্বান জানান।
সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ইংরেজি দৈনিক নিউজ টু-ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটেজিস স্টাডিজের প্রধান রাষ্ট্রদূত মুনসী ফয়েজ আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম এ তসলিম প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত লি জুন বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য কী ভালো বা কী করা উচিত তা এদেশের রাজনীতিবিদরাই ভালো জানেন। তারাই চলমান সমস্যার সমাধান খুঁজে নেবেন।
বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে চীনা এ কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার নিয়ে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিস্তর সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, সোনাদিয়া নৌ-বন্দর হলে এ যোগাযোগের দ্বার আরও প্রসারিত হবে। তৈরি পোশাক খাতের জন্য চীন বাংলাদেশে একটি ইপিজেড স্থাপনে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্য বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী মতায় আরও দতা অর্জন করতে হবে।
শান্তিপূর্ণ আলোচনার মধ্য দিয়ে তারা একটি সমঝোতায় পৌঁছতে পারবে বলেও মনে করেন বন্ধুপ্রতিম এ রাষ্ট্রদূত। এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন অনেক আগে থেকেই অত্যন্ত স্পষ্ট করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। দ্বিপীয় সর্ম্পক ও এখানকার মানুষের মঙ্গলের জন্যই চীনের এ অবস্থান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা এটাও বলেছি, এখানে কি প্রয়োজন, কোনটি ভালো বা মন্দ তা দেশের রাজনীতিবিদ ও জনগণই ঠিক করবে। কারণ এ সম্পর্কে তারাই ভালো জানেন।
বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক গভীর।
রিয়াজ উদ্দিন আহমদ বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন বহুমাত্রিক। এটি আরও বেগবান হচ্ছে। এখন কুনমিং হয়ে আকাশ যোগাযোগ বৃদ্ধি হওয়া তার প্রমাণ দেয়।
অধ্যাপক এম এ তসলিম দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য দূরত্ব বাড়ছে উল্লেখ করে জানান, বাংলাদেশ এখন প্রতিবছর চীন থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করছে। বিপরীতে চীনের বাংলাদেশ থেকে আমদানি এক বিলিয়নেরও কম। ভবিষ্যতে এই ব্যবধান আরও বাড়বে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি এখনই তা দূর করতে পদপে নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।