স্টাফ রিপোর্টার ॥ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের প্রথম দিন যাত্রীরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও দ্বিতীয় দিনই দেখা দিয়েছে শিডিউল বিপর্যয়। রাজধানীর কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেন ১-২ ঘণ্টা বিলম্ব হয়। এতে ঘরমুখো যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১ ঘণ্টা পর ছেড়ে যায়। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে ট্রেনটি ৮টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ে। দিনাজপুরগামী অগ্নিবীনা এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে ১০টায়। রংপুর এক্সপ্রেস ৯টার পরিবর্তে ৯টা ৫০ মিনিটে, একতা এক্সপ্রেস ১০টার পরিবর্তে ১১টায় কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়।
দুপুর ১২টার পরিবর্তে পারাবত এক্সপ্রেস বেলা সোয়া ১টায় ছাড়ে। বলাকা এক্সপ্রেস ৩২ মিনিট, তিতাস এক্সপ্রেস ৪৫ মিনিট দেরিতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছাড়ে। এছাড়া প্রতিটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন ৩০-৪০ মিনিট দেরিতে কমলাপুর ছেড়ে যায়। এদিকে ট্রেনের ভেতরে আসন বা দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে শত শত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ছাদে চড়ে রওনা হন।
রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আজম খান বলেন, ৯টার ট্রেন ধরতে সকাল ৮টায় স্টেশনে এসেছি। ১ ঘণ্টা পর ট্রেন ছাড়বে বলে জানানো হয়েছে। একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী সুলতান মাহমুদ বলেন, কর্তৃপ ইচ্ছা করেই শিডিউল বিপর্যয় ঘটিয়েছে। ধারণমতার চেয়ে তিন বা চার গুণ যাত্রী তোলা হলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে।
শিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু তাহের সাংবাদিকদের বলেন, বেশকিছু দিন থেকে ট্রেনে পাথর নিপে, অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনার বিষয় বিবেচনা করে ঈদ ও পূজায় যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ট্রেন কিছুটা ধীরে চালানো হচ্ছে। এতে কিছুটা দেরিতে ট্রেন ছাড়ছে। তবে শিডিউল বিপর্যয় যাতে চরম আকার ধারণ না করে সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।