স্পোর্টস ডেস্ক ॥ তার মতো ফুটবল প্রতিভা খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু ‘ফোকাস’ নড়ে যাওয়ার ফল ভুগতে হয়েছে। আর ফোকাস নড়ে যাওয়ার কারণটা কী? না, বিয়ে!
ডেভিড বেকহ্যামকে দেখেছেন সেই ১২ বছর বয়স থেকে। আর যে ফুটবলারকে তিনি হাতে করে তৈরি করেছেন, তার সম্পর্কে রাখঢাক না করে এবার মুখ খুললেন স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন। বলে দিলেন, “ডেভিড বেকহ্যামকে যখন ১২ বছর বয়সে দেখি, তখন ওর মধ্যে একটাই ইচ্ছা ছিল। সেরা ফুটবলটা খেলার। ট্রেনিংয়ে সব কিছু উজাড় করে দিত। এমনকী রাতেও চলে আসত স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে ট্রেনিং করতে। তারপর আস্তে আস্তে ওর জীবনটা বদলে যায়। স্পাইস গার্লের ওই মেয়েটাকে (ভিক্টোরিয়া) বিয়ে করে। সেলিব্রিটি জগতের সঙ্গে জড়িয়ে যায় এবং ফুটবল থেকে ফোকাসটা নড়ে যায়।”
একে ‘ফোকাস’ নড়ে যাওয়া, তারপর বেকহ্যামের আরো একটা সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি ফার্গুসন। মার্কিন একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাাৎকারে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন ম্যানেজার বলেছেন, “আমরা যখন ওকে রিয়াল মাদ্রিদে বিক্রি করে দিই, তখনও বেকহ্যাম ঠিকঠাক ফুটবলটা খেলছিল। কিন্তু তারপর ও লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বাস করতে পারিনি বেকহ্যাম এ রকম একটি সিদ্ধান্ত নেবে। এখনো আমার মাথায় ঢোকেনি কেন ও ওই রকম একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমার হাতে যদি ব্যাপারটা থাকত, তা হলে বেকহ্যামকে সেরা দলটাতে পাঠাতাম। যেমন রিয়ালে পাঠিয়েছিলাম। রিয়াল অন্যতম সেরা দল ছিল। ম্যাঞ্চেস্টারও।”
বেকহ্যামের সিদ্ধান্ত নেয়ার মতাকে বিঁধলেও তার খেলোয়াড়ি মতার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ফার্গুসন। বলছিলেন, “তবে বেকহ্যাম আবার নিজেকে ফিরে পেয়েছিল। বছর দু’য়েক ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচও খেলে। এসি মিলানের হয়ে ইউরোপিয়ান কাপেও খেলেছে। একটা কথা মানতেই হবে। বেকহ্যাম অবিশ্বাস্য।”
গত মরসুমে ৩৮ বছর বয়সে প্যারিস সাঁ জাঁ-র হয়ে খেলে ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন বেকহ্যাম। তার প্রাক্তন ছাত্রকে নিয়ে কোথাও একটা কাঁটা খচখচ করলেও স্যর অ্যালেক্স বলছেন, “আমি কে ওর সামাজিক জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলার? তবে হ্যাঁ, ওকে আরও মহান ফুটবলার হতে দেখলে অবশ্যই আরও খুশি হতাম। আসলে আমি তো ফুটবলের লোক। কিন্তু জীবন কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে বলার আমি কে? ও তো তরুণ প্রজন্মের কাছে একটা আইকন। তবে ছেলেটা সত্যিই বিস্ময়কর।