স্টাফ রিপোর্টার ॥ কয়লাভিত্তিক আরো পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদন মতা হবে ১৫০০ থেকে ২৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। আর বিল্ড অন অপারেট (বিওও) পদ্ধতিতে প্রস্তাবিত এ পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি করবে ওরিয়ন গ্রুপ, বাকি দু’টি করবে এস আলম গ্রুপ।
রোববার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য উদ্যোক্তা (স্পন্সর) নিয়োগের আর্থিক দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
সভার শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনু মুহাম্মদ সাহেব যাই বলুক না কেন, আমাদের কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতেই হবে। কারণ কয়লা সবচেয়ে সস্তা। আমরা এটা ব্যবহারের চেষ্টা করছি।’
অর্থমন্ত্রী জানান, নির্মাণ, কয়লা আমদানি ও উৎপাদনের যাবতীয় খরচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বহন করবে। সরকার তাদের কাছ থেকে ৬ থেকে ৭ টাকা ইউনিট দরে বিদ্যুৎ কিনবে।
ওরিয়ন গ্রুপের পাওয়া তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে: ঢাকা এলাকায় ৬০০ থেকে ৮০০ মেগাওয়াট ও ১০০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট মতার দু’টি এবং চট্টগ্রাম এলাকায় ১০০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট মতার একটি কেন্দ্র।
অন্যদিকে এস আলম গ্রুপ চট্টগ্রাম এলাকায় ৬০০ থেকে ৮০০ মেগাওয়াট এবং বরিশালে ১০০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট মতার দুটি কেন্দ্র করবে।
বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য রাশিয়ার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
রাশিয়ান ফেডারেশনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে দুই হাজার মেগাওয়াট।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সুন্দরবনের কাছে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে। ২২ অক্টোবর ওই কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে সুন্দরবন ধ্বংস হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে বলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রা জাতীয় কমিটি এবং বিরোধী দল বিএনপি।
এছাড়া বেসরকারি খাতে চট্টগ্রাম ও মুন্সীগঞ্জে ৬০০ থেকে ১২৫০ মেগাওয়াটের তিনটি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হয়েছে। ওরিয়ন গ্রুপ এসব কেন্দ্র নির্মাণের পর আমদানি করা কয়লায় তা চলবে।