মুন্নীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কথা গোপনে রেকর্ড করার অভিযোগ

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা গোপন ক্যামেরায় ধারণ করার অভিযোগে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা।

জানা গেছে, নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী মুন্নী সাহা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও তার মধ্যে কথোপকথোন তিনি গোপনে রেকর্ড করেন। পরে এসএসএফ সদস্যরা ওই টেপ মুছে ফেলেন।

অপর এক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে উল্টা-পাল্টা প্রশ্ন করায় ুব্ধ হন শেখ হাসিনা। আর ওই ুব্ধ প্রতিক্রিয়া রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে টেপ মুছে ফেলা হয়।

এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরের দ্বিতীয় অঘটন। এর আগে তার বক্তব্যে কাগজপত্রের প্যাকেট রাস্তায় ফেলে রাখায় এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই প্যাকেটের মধ্যে বোমা থাকতে পারে মনে করে পুলিশ নিরাপত্ত বেষ্টনী তৈরি করে। পরে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা তা উদ্ধার করে।

এটিএননিউজের বার্তা প্রধান মুন্নী সাহা এর আগে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন।

নিউইয়র্ক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটির গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সংপ্তি ইন্টারভিউ নিতে যান এটিএননিউজের সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নী সাহা; যিনি প্রধানমন্ত্রীর ১৪০ জনের বিশাল প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য হিসেবে সরকারি খরচে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। ইন্টারভিউয়ের আগ্রহ জানালে সময় স্বল্পতার কারণে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে সময় দিতে রাজি হননি। অনেক অনুরোধের পর ৫ মিনিট সময় দিতে সম্মত হন তিনি।

ইন্টারভিউয়ের এক পর্যায়ে মুন্নী সাহার কোনো এক প্রশ্নে ুব্ধ হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি মুন্নীর সঙ্গে ধমকের স্বরে কথা বলেন বলে প্রত্যদর্শীরা জানান। এ পরিস্থিতিতে এসএসএফ সদস্যরা মুন্নী সাহাকে চলে যেতে বলেন এবং ক্যামেরা নিয়ে নেন। পরে রেকর্ড করা ক্যাসেট রেখে মুন্নী সাহার ক্যামেরা ফিরিয়ে দেয়া হয়।

জানান গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কথা গোপনে ধারণ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুন্নী সাহা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নির্দেশে নিরাপত্তা রীরা তার কাছ থেকে ভিডিও টেপটি চেয়ে নেন।

প্রত্যদর্শীর বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক সূত্র জানায়, মুন্নী সাহা ক থেকে বের হয়ে আসার পরই এসএসএফের একজন অফিসার গোপন রেকর্ডার থেকে টেপ খুলে নেন। এ সময় মুন্নী সাহা কোনো কথা না বলে চলে যান।

জাতিসংঘ অধিবেশনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য নিউইয়র্কে অবস্থানরত আমার দেশের সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান শনিবার তার ফেসবুকে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য প্রতিনিয়ত টকশো, এমনকি সংবাদের মধ্যেও আমাদের অনেক সাংবাদিক বন্ধুরা নিজেদেরকে দর্শকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। এহেন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার কাছ থেকে মুন্নী সাহাকে এমন দুর্ব্যবহারের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু জাতিসংঘ অধিবেশন কভার করতে আসা বাংলাদেশি সাংবাদিক, প্রধানমন্ত্রীর বহরের সদস্য এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের অনেকেই এ সংবাদটিকে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করিনি।

তবে শেষ পর্যন্ত আমাকেও বিশ্বাস করতে হলো। প্রেস রুমে সবার সামনেই মুন্নী সাহা এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টারের কাছে জানতে চান তিনি এ ধরণের সংবাদ অন্যদের কাছে পরিবেশন করেছেন কি-না। অন্য সাংবাদিকদের সামনেই ওই সাংবাদিক বলেন- দিদি বিশ্বাস করেন, আমি এমন কিছু বলিনি। আমি কাউকে কিছু বলিনি। উপস্থিত আরেক টেলিভিশন সাংবাদিক বলে ওঠেন, ‘হ্যা, ওর কাছ থেকে আমরা কিছুই শুনিনি। পুরো বিকেলটায় মুন্নী সাহা মানসিকভাবে অত্যন্ত ধীর থেকেছেন। কথা বলতে গিয়েও তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি। এমনকি জাতিসংঘ দপ্তরের পাশের মনোরম নদীর দৃশ্যও তার মনের কষ্ট দূর করতে পারেনি। যিনি সবসময় হাস্যোজ্জল থাকেন, সেই মুন্নী সাহার সঙ্গে নিউইয়র্কের এক সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে হাস্যরসের চেষ্টা করেও সেলিব্রেটি সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে হাসানো সম্ভব হয়নি।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫