জেলা প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল ॥ দেশে উত্পাদিত গ্রিন টির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিদেশে। দেশের চা-পানকারীদের কাছে গ্রিন টি খুব একটা পরিচিত না হলেও পাকিস্তান, চীন, জাপান, তাইওয়ান, হংকং এবং দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে এর কদর দিন দিন বাড়ছে।
বাংলাদেশে গ্রিন টি উত্পাদনের একমাত্র চা বাগান ও কারখানাটি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত। এর নাম জাগছড়া চা বাগান। এটি ফিনলে চা কোম্পানির কনসলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে উত্পাদিত গ্রিন টির সিংহভাগ বিদেশে রফতানি করা হয়। গ্রিন টির আকার, বর্ণ, স্বাদ ও ব্যতিক্রমধর্মী। এ চায়ের মূল্য ব্ল্যাক টি অপেক্ষা বেশি।
বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চের ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে এ চায়ের বিক্রির পরিমাণ খুবই নগণ্য। জাগছড়া চা বাগানে বছরে প্রায় দেড় লাখ কেজি গ্রিন টি উত্পাদিত হয়। এর মধ্যে ২ থেকে ৩ শতাংশ গ্রিন টি ও টি-ব্যাগ হিসেবে বিক্রি হয়। অবশিষ্ট চা বিদেশে রফতানি করা হয়। এই চায়ের প্রধান ক্রেতা দেশ হচ্ছে পাকিস্তান। এছাড়া চীন, জাপান, তাইওয়ান, হংকং, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে এই চা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মৌলভীবাজারের নিউ সমনবাগ চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মো. শাহজাহান আখন্দ জানান, বর্তমানে চিকিত্সা বিজ্ঞানে গ্রিন টি-কে অনেক জটিল রোগের প্রতিরোধক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চায়না ও জাপানিরা বর্তমানে পানি অথবা কোমল পানীয়ের পরিবর্তে গ্রিন টি পান করাকে অধিক পছন্দ করছে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক।
এছাড়াও এই চা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হূদরোগের ঝুঁকি কমায়। শরীরের উদ্দীপনা শক্তি বৃদ্ধিসহ কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টিতে ন্যাচারাল ফ্লোরাইড থাকায় নিয়মিত এই চা পানে দাঁতের ক্ষয়রোধসহ দাঁত ও মাঢ়ির বিভিন্ন উপকারে আসে।