জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল ॥ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচন মেনে নেয়া হবে না বলে বরিশালে নাগরিক ঐক্যের জনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় সংবিধান প্রনেতা ড. কামাল হোসেন। একই জনসভায় জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন ইউপি মেম্বর নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাও নেই বলে দাবী করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে সোমবার বিকালে নাগরীক ঐক্যের উদ্যোগে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে জনসসভার আয়োজন করা হয়। জনসভায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানে আছে মানুষের সুবিধার্থে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে ক্ষেত্রে মানুষের কোন সুবিধা না দেখে শুধুমাত্র একক স্বার্থের কারনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। ২০১১ সালের ২৯ মার্চ সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা হয়েছে। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনের কথা ছিল না। তাহলে এখন আবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই নির্বাচনের পায়তারা চালানো হচ্ছে কেন।
কষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাপের পরিচয় ছেড়ে নিজের পরিচয়ে আসেন। আপনি প্রধানমন্ত্রী কেন একজন ইউপি মেম্বরও নির্বাচিত হতে পারবেন না। আপনার ছেলেও নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে নিজ পরিচয়ে নির্বাচিত হতে পারবে না।
বিকল্প ধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী বলেন, পদ্মাসেতু নির্মানে আগেই এর অর্থ ভাগভাটোয়ারা করার পরিকল্পনা করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এছাড়া শেয়ার বাজারের মাধ্যমে দেশের সাধারন জনগনকে নিঃস্ব করে ফেলেছে তারা। অথচ সারা দেশে বিলবোর্ড দখল করে উন্নয়নের ধারা প্রচার করছে আওয়ামী লীগ। সভায় বক্তব্য রাখেন বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অবঃ) আব্দুল মান্নান। সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি হিরন কুমার দাস মিঠু।