স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘প্রাইভেটকারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণেই ঢাকার রাস্তায় যানজট বাড়ছে। গণপরিবহনের উন্নয়ন না করে শুধু প্রাইভেটকার ব্যবহারে উৎসাহিত করার ধারা বজায় থাকলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা রীতিমত আতঙ্কজনক হবে।’
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘প্রাইভেটকার কেন্দ্রিকতা যাতায়াতের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা) ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এখন হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর জন্য তাদের দেশের জনগণকে উৎসাহিত করছে আর বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশের ওপর বিশ্বব্যাংকের মত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে আধুনিকায়নের নামে নিজেদের বোঝাগুলো চাপিয়ে দিচ্ছে।’
প্রাইভেটকারকে জঞ্জাল হিসেবে অভিহিত করে মারুফ রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ঢাকায় যে প্রাইভেট গাড়ীগুলো চলাচল করে এগুলোর অধিকাংশই দিনের বেশিরভাগ সময় রাস্তার পাশে পার্কিং করে থাকে। পরিবেশ দূষণেও ভূমিকা রাখছে এই প্রাইভেট কার। ২৫ শতাংশ কার্বন নির্গত হয় যানবাহন খাত থেকেই।
প্রাইভেটকারের যে সমস্যাগুলো তিনি গবেষণা করে চিহ্নিত করেছেন তা হলো, যানজট বৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, চলাচল ও পার্কিং এর জন্য শহরের মূল্যবান জায়গার অপব্যবহার , শব্দ ও বায়ুদূষণ, জ্বালানী অপচয়, শিশু কিশোরদের খেলাধুলা ও বয়স্কদের আড্ডার জায়গা সংকোচন, সড়ক দুর্ঘটনা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, নান্দনিক সৌন্দর্য্য হ্রাস, এমনকি সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ও অন্যতম বাধা হলো এই প্রাইভেটকার।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইপির সাবেক সভাপতি ড. সারোয়ার জাহান, পবার সম্পাদক ও ডব্লিউবিবির নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, পবার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না।