সানি লিওনের যৌন সুড়সুড়ির এমএমএস

বিনোদন ডেস্ক ॥ যৌন সুড়সুড়ির এমএমএস, তা সে পাওলি দামের হোক বা সানি লিওনের, ঝড় একটা তুলবেই। ইন্টারনেটের হরেক সাইটে সেটা দেখতে কাতারে কাতারে ‘হিট’ বাড়বে; তারপর ডাউনলোড হয়ে সোজা ঢুকে যাবে জিন্স বা হাতব্যাগের খাঁজে-ভাঁজে।

এই পর্বটি পেরিয়ে এসে দেখাটা যখন ওই এমএমএসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ছবিটির মুক্তির আগেই সুলভ হবে, তখন শুরু হবে প্রতিবাদ-বিােভ ইত্যাদি প্রভৃতি। বেশ বড়সড় খুঁটির জোরওয়ালা কোনও দল সেই প্রতিবাদ তুললে তাতে খানিক কাজও হয়- সেন্সর বোর্ডের হস্তেেপ হয় দৃশ্যটা ছেঁটে দেওয়া হয়, নয় তো ব্যানড্ হয়ে যায় ছবিটা।

সানি লিওনের নতুন ছবির সঙ্গেও কি এরকম কিছু হতে চলেছে? কেন, তার কিছুটা নমুনা দেখতে পারেন নিচের এই ভিডিও লিঙ্কটায় কিক করে। এই ভিডিওয় ছবির জন্য যে সব গায়ে গরম দৃশ্য শ্যুট করেছেন নায়িকা, তারই মহড়ার ফুটেজ আছে।

দেখুন ভিডিও : সানি লিওনের থ্রিসাম এমএমএস

দেখেই বুঝতে পারছেন, এসব অন্তরঙ্গ দৃশ্যের জন্য ‘রাগিণী এমএমএস ২’ ছবিটাকে নিয়ে গুজগুজ শুরু হয়নি। সানি লিওন তো ‘জিসম্’ দেখাবেনই সুন্দর করে; সেটার জন্যই তাঁর নামডাক। যেটা নিয়ে আপত্তি, সেটা হল ছবির পোস্টার। শুধু রাগিণী সিরিজের দুই নম্বর ছবি নয়, অভিযোগের তালিকায় আছে প্রথমটাও।

তাও ছবির পোস্টারের দৃশ্য নয়, আপত্তির কাঠগড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে পোস্টার জুড়ে থাকা একটি বিলিতি শব্দ। ‘থ্রিসাম’। পোস্টারের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ছেলেটিকে বিছানায় পেড়ে ফেলেছে মেয়েটি। আর এক কোণ ঘেঁষে প্রায় ভয়্যারের মতো তাকিয়ে আছে এক ভূত-খুকি। ছবির ওপরে লেখা আছে ‘ওদের জানা নেই যে এটা একটা থ্রিসাম হতে চলেছে- ঞঐঊণ উঙঘ’ঞ কঘঙড ওঞ ণঊঞ. ওঞ’ঝ অ ঞঐজঊঊঝঙগঊ.’

এখন সোশ্যালিস্ট দুই নারী স্বপ্না ভবনানি আর রমোনা এরেনার বড় চাপ হয়ে গিয়েছে এই ‘থ্রিসাম’ শব্দটিকে নিয়ে। ‘থ্রিসাম’ বলতে সাধারণত তিনজনে মিলে যৌন খেলার কথাই বলা হয়ে থাকে। ভাবছেন তো, অধিকাংশ ভারতীয় মহিলার মতোই যৌনতা নিয়ে ‘রাখ রাখ ঢাক ঢাক’ মতবাদে বিশ্বাস করেন ভবনানি আর এরেনা? তা কিন্তু নয়। তাঁদের বক্তব্য জলের মতো সাদা-সাপটা। ‘যৌনতা থাক তার নিজের জায়গায়, আর ভূত থাক তার নিজের জায়গায়।

এ আবার কেমনধারা সস্তা পাবলিসিটি? একতা কপূরের লজ্জা করা উচিৎ এমনভাবে ছবি প্রচার করার জন্য। এখন থেকে সেক্সটাও ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়াল নাকি? আমরা তো ভাবছি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করব’, নিজেদের যুক্তিটাকে আর গপ্পোর জায়গায় নিয়ে যেতে রাজি নন তাঁরা। বরং তর্কে তাঁদের আগ্রহ অনেক বেশি।

এবার প্রশ্ন হল, তর্কটা হবে কী নিয়ে? ভূত আর যৌনতার সম্পর্ক নিয়ে? নাকি ভুতুড়ে যৌনতা নিয়ে? প্রথমটা নিয়ে তর্ক করতে গেলে বলতে হয় ভূতের গল্পে যৌনতা অনেক সময়ই একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে। যৌনতায় যেমন গায়ে শিহরণ জাগে, ভয়েও তেমনই গায়ে কাঁটা দেয়। এই উত্তেজনা দুটোরই মূল। তাই দেশ-বিদেশের ভূতের গল্পে, ছবিতে যৌনতা সমানে সমানে এগিয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে ভূত আর যৌনতা নিয়ে তেমন আপত্তির জায়গা নেই। তবে কি অভিযোগের ল্য ‘থ্রিসাম’ শব্দটির উল্লেখে ভূতকে বিছানায় টেনে আনায়?

এ যদি অভিযোগের কারণ হয়, তাহলে ‘রাগিণী এমএমএস ২’-এর মুক্তি নিয়ে খুব একটা চিন্তার কারণ নেই। বিজ্ঞাপন জগৎ ‘থ্রিসাম’ শব্দটাকে অনেক দিনই তিনজনে মিলে যৌন খেলার বদলে তিনজনে মিলে যা খুশিতে নামিয়ে এনেছে। অতএব সে দিকে চাপ নেই। আবার চাপ নেই ভূতকে বিছানায় নিয়ে আসা নিয়েও।

২০০৩ সালে ‘হাওয়া’ নামে একটা ছবি মুক্তি পেয়েছিল, যেখানে রোজ রাতে এক অশরীরী ধর্ষণ করত নায়িকা তব্বু-কে। সেই ছবি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের কোনও আপত্তি দেখা যায়নি। ছবিটায় ভূতের মানুষকে ধর্ষণের দৃশ্য নরম-সরম ছিল বলে নয়; নীতিগত দিক থেকেও সেন্সর বোর্ড ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কারণ খুঁজে পায়নি।

তেমনই ২০১২ সালে ‘রাজ থ্রিডি’ ছবির পোস্টারে আমরা দেখেছি ভূতের বাহুতে যৌন সুখে লীন নায়িকার ছবি; ছবিতেও ভূতের সঙ্গে শুতে রাজি হয়ে গিয়েছে নায়িকা বিপাশা। সে ছবির পোস্টারে, দৃশ্যেও সেন্সরের কাঁচি চলেনি।

তাহলে কি ‘রাগিণী এমএমএস ২’ বিপদমুক্ত? উত্তরটা ‘হ্যাঁ’ হলে ভাল লাগত জানা কথা, কিন্তু সেন্সর বোর্ড তার জো রাখেনি। হালকা-ফুলকা কাঁচি তারা চালিয়েছে ঠিকই ছবিটার মোম কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্যে। ওটা অবশ্য ভবনানি-এরেনার প্রতিবাদে-প্ররোচনায় নয়; নেহাতই খবরদারি ফলানোর জায়গা থেকে।

কেন না, ছবির পোস্টার থেকে বাদ পড়েনি থ্রিসাম শব্দটা। যদিও বেয়াড়া প্রশ্নগুলো থেমে থাকে না, সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের যৌন জীবনের হতাশার দিকটি নিয়েও আলোচনা বাড়ে বই কমে না। এক সময় তা থেমেও যায় প্রকৃতির নিয়মেই। ‘রাগিণী এমএমএস ২’ ছবিটা নিয়েও তাই হবে।

কাঁচির জোর থাক তার দুই ধারে, সানি লিওনের শরীরী ধারও কম কিছু নয়। যা আছে, তাই নিয়েই আশা করা যায় বাজার মাতাবে ‘রাগিণী এমএমএস ২’। আর রাগিণী যদি মুখ থুবড়ে পড়ে? ভয় দেখাতে ব্যর্থ হয়? সানি লিওন আছেন কী করতে! শেষ পর্যন্ত তাঁর জন্যই তো প্রোগৃহে যাবেন দর্শক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫