স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমপিও না দিলে ঘরে ফিরে যাবনা, রাজপথ ছাড়ব না স্লোগানে রাজধানীতে মহাসমাবেশ করেছে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ শুরু হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করার কথা থাকলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় পরে তা শহীদ মিনারে করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ ইশারত আলী বলেন, সারাদেশের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। বিকেলে এমপিওভুক্তির দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবো। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী সদয় হবেন।
ঝড়যধফসরহধৎসমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষক নেতারা বক্তব্য রাখেন। এদেরই একজন ময়মনসিংহের ত্রিশাল মুখ্যপুর কলেজের অধ্যক্ষ নুরজাহান পারভীন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোবাইলে জনগণের কাছে বলেছেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর মেরুদণ্ড শক্ত করার কারিগর হচ্ছেন শিক্ষকরা।প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন না পেলে আমরাই মেরুদণ্ডহীন হয়ে যাবো। তখন জাতির মেরুদণ্ড কিভাবে শক্ত হয়ে দাঁড়াবে।
মহাসমাবেশে বক্তারা চারদফা দাবি উথাপন করে আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।এর মধ্যে রয়েছে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে এমপিওভুক্তি করা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি না দেওয়া।
সমাবেশ থেকে ১ অক্টোবর থেকে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, ৫ অক্টোবর সকল জেলা শহরে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া এবং ৭ অক্টোবর বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান, ধর্মঘটসহ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবেশে যোগ দেওয়া সিরাজগঞ্জের রাজিবপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবু লাইস বলেন, বছরের পর বছর বেতন না পেয়ে নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বারবার প্রতিশ্রুতি পেয়েও শেষ পর্যন্ত এমপিওভুক্তি করা হয়নি। ক্ষমতার শেষ সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কষ্টে থাকা শিক্ষক সমাজের দিকে তাকাবেন।দ্রুত এমপিওভুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।ঝড়যধফসরহধৎ
তার মাদ্রাসাটিকে বর্তমান সরকারের সময় প্রথমবার এমপিওভুক্ত করে পরে তা বাতিল করা হয় বলেও জানান এ শিক্ষক নেতা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ জানুয়ারি এই সংগঠনের মহাসমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, জলকামান ও পিপারস্প্রেতে বহু শিক্ষক আহত হন। এদের একজন সেকান্দার আলী মারা গেছেন। শিক্ষামন্ত্রী ঘটনার পর শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ৩ মাসের মধ্যে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পার হলে আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।