নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় সমস্যার মূলে সাব-কন্ট্রাক্ট

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে পোশাক শিল্পের নির্বাহী, শ্রমিক অধিকার কর্মী, আমেরিকান ও ইউরোপীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন ঢাকার তৈরী পোশাক কারখানার মালিকরা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়। এটি লিখেছেন, বিকাশ বাজাজ। এতে তিনি আরও লিখেছেন, এ শিল্পের বিপর্যয়ে এদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে বিশ্বের। বাংলাদেশ থেকে যে পশ্চিমা ক্রেতারা পোশাক কেনে গত বছরই তারা বাংলাদেশের এ খাতে সংস্কারের চেষ্টা করে। এ শিল্পে লাভের পরিমাণ কম। অব্যাহত অসন্তোষ আছে। ফলে এ শিল্পের নিরাপত্তার মান উন্নয়নে রয়েছে বড় বড় সব প্রতিবন্ধকতা। বিকাশ বাজাজ লিখেছেন, আমি এক ব্যবসায়ী এবং একজন কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলতে রাজি হন। কারণ, তারা জানেন তাদের নাম প্রকাশ হলে ক্রেতারা অসন্তুষ্ট হতে পারে। কারখানা মালিক আমাকে বললেন, ওয়াল-মার্টের মতো বড় বড় কোম্পানি একসঙ্গে কয়েক লাখ টি-শার্ট ও শর্টসের অর্ডার দেয়। এ মালিকের কারখানা এক সঙ্গে এতবড় অর্ডার সরবরাহ করতে সক্ষম নয়। তাই তিনি কিছু অর্ডার দিয়ে দেন ছোট ছোট উৎপাদনকারীর কাছে। তিনি বলেছেন, অফিসিয়ালি আমি এটা করতে পারি না। কিন্তু আন-অফিসিয়ালি আমি এটা করতে পারি। অনুমোদনহীন ছোট ছোট কারখানার কাছে সাব-কণ্ট্রাকটিং, পরিদর্শনহীন কারখানা এক্ষেত্রে বড় কথা নয়। এ বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এটাই হলো নিরাপত্তা নির্দেশলাইন লঙ্ঘনের প্রাথমিক কারণ। এর ফলে রানা প্লাজার মতো কারখানা ধসে অথবা অগ্নিকাণ্ডে শত শত শ্রমিকের মৃত্যুকে রোধ করা যাচ্ছে না। কারখানার মালিকরা স্বীকার করলেন তারা যা করছেন তা অন্যায়। তারা বললেন, এক্ষেত্রে পশ্চিমা পোশাক তৈরীকারক কোম্পানিগুলোও দায়ী। কারণ, তারা মাঝে মধ্যে এমন সব কোম্পানিকে তারা কাজ দেয়। তারা জানে এসব কোম্পানির পর্যাপ্ত মেশিন নেই। কাজ শেষ করে দেয়ার মতো শ্রমিক তাদের নেই। খুচরা ক্রেতারা সাব-কন্ট্রাক্টের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। কারণ, তারা বড় খুব কম কণ্ট্রাক্ট পায়। সরবরাহকারীরা বড় কোন অর্ডার তা ফিরিয়ে দেয় না। তারা মনে করে, এ অর্ডার ফিরিয়ে দিলে তারা ভবিষ্যতে কাজ পাবে না। বাংলাদেশে কোন কারখানা না বলার আগে তিনবার ভাবে। ওদিকে সাব-কন্ট্রাক্টররা অর্ডার পাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে থাকে। কারখানার আধুনিকায়নে তাদের সামর্থ্য নেই। তবে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই দু’ব্যক্তি বলেছেন, তারা এ ব্যবস্থার উন্নয়নের চেষ্টা করছেন। তাই পশ্চিমা কোম্পানিগুলোকে এমন সব বড় সরবরাহকারীর সঙ্গে কাজের চুক্তি করা উচিত হবে না, যারা সাব-কণ্ট্রাক্ট ছাড়া কাজ করাতে পারবে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫