জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে আরো নতুন নতুন এলাকা, পানিবন্দি হয়ে পড়ছে লক্ষাধিক মানুষ। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যেই প্রায় ২শ’ হেক্টর আবাদি জমির ফসল তলিয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার রাত ৮টার দিকে শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট তীব্র হচ্ছে।
এখনো কোনো ত্রাণ পৌছায়নি বন্যার্তদের কাছে। জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যেই জেলা সদরের ৩টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম, কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলসহ পাঁচটি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম, চৌহালী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম, শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে, কাজিপুর ও তাড়াশের প্রায় ২শ’ হেক্টর আবাদি জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা না পাওয়ায় এখনো ত্রাণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্রচুর ত্রাণ সামগ্রি বরাদ্দ রয়েছে।