স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও দাখিলে গণিত ও উচ্চতর গণিত বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে জোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৬তম বৈঠকে মাধ্যমিক পর্যায়ে গণিত বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া নবম শ্রেণির আগামী বার্ষিক পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি মনিটরিং করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
জুলাই মাসে দেশের স্কুলগুলোতে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় শহরে নবম শ্রেণির ২০ শতাংশ ও গ্রামে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে পাস করেছে। ফল বিপর্যয়ের জন্য গণিতের সৃজনশীল প্রশ্নকে দায়ী করে অভিভাবকরা গণিতে এ পদ্ধতি বাতিলের দাবি করেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সাল থেকে মাধ্যমিক স্তরে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করা হয়। ধাপে ধাপে অন্যান্য বিষয়ে এ পদ্ধতি কার্যকর হলেও চলতি বছর থেকে গণিতেও সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়।
২০১৪ সালের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অন্যান্য বিষয়ের মতো গণিতের পরীক্ষাও সৃজনশীল পদ্ধতিতে হবে।
এ ছাড়া সৃজনশীল প্রশ্নে ২০১৭ সালের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উচ্চতর গণিত বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারার জানান, সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি এই আঙ্গিকে বই ছাপানো হয়েছে।
শিক্ষা আইনের খসড়া দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুপারিশ
বৈঠকে শিক্ষা আইন-২০১৩ শীর্ষক খসড়া বিলের ওপর আলোচনা হয় এবং বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করে আগামী সংসদ অধিবেশনে উত্থাপনের বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করা হয়।
এডুকেশন কাউন্সিলর পদ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি ছাত্র/ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবিধার্থে ‘এডুকেশন কাউন্সিলর’ পদ সৃষ্টির সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
কমিটির সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মির্জা আজম, বীরেন শিকদার, শাহ আলম, মু. জিয়াউর রহমান এবং মমতাজ বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।