বাংলাভ’মি২৪ ডেস্ক ॥ অভাবের কারনে পুরনো পতিতা জীবনকেই বেছে নিতে বাধ্য হন অনেকে। ভারতের পুণের যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার হওয়া এক ভারতীয় বধূ আবার ফিরে যেতে চায় তার সেই পুরানো যৌনপল্লী জীবনে।
জানা যায়, ভারতের পুণের এক যৌনপল্লীর ঘরে পশ্চিমবঙ্গের এক গৃহবধূকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল প্রায় দু’বছর। দুই বছরে সে সূর্যের মুখ দেখেনি। নিত্যদিন যৌন অত্যাচার তো ছিলই, বাড়তি হিসেবে মারধর ও নিগ্রহ। সিগারেটের ছ্যাঁকায় সারা শরীর দগদগে হয়ে গিয়েছিল তার। বিক্রি হয়ে যাওয়া সেই গৃহবধূকে পুলিশ এগারো মাস আগে পুণের নরক থেকে উদ্ধার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাড়িতে ফিরিয়ে দিলেও শ্বশুরবাড়িতে তার স্থান হয়নি। বিভিন্ন তরফে বিবিধ প্রতিশ্রুতি পেলেও জোটেনি তার কোনো কাজ। বাধ্য হয়ে ফের ওই নরকেই ফিরতে চাইছে গৃহবধূ।
সে বলছে, এখানে খাবার জুটছে না। ওখানে অন্তত খেয়ে প্রাণটা বাঁচাবো। পুলিশ অফিসারেরা এই কথা শুনে অবাক। কারণ তারা প্রাণ বাজি রেখে তাকে ফিরিয়ে এনেছেন। তাকে আটকে রাখার অভিযোগে দুই মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বধূটি এবার স্বেচ্ছায় যৌনপল্লিতে ফিরে যেতে চাচ্ছে।
এই ঘটনার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে পাচারচক্রের খপ্পর থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা কতোটুকু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য আশ্বাস দেয়া হয়েছে, তাকে হোমে রাখার ব্যবস্থা হবে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য,এই গহবধূটি তার দরিদ্র স্বামীর বাড়িতে অনেক অনুরোধ উপরোধের পরেও ঠাঁই পায়নি। সমাজকে কোনো ভাবেই তাকে গ্রহণ করেনি। ওয়েবসাইট।
উল্লেখ্য গতবছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাচার হওয়া ১৩জন তরুণী ও কিশোরীকে পুনের একটি যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করে পুণে পুলিশ। পুনের ঐ পাচার চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিস সেখানে পশ্চিমবঙ্গের আরো ২৫জন পাচার হওয়া মহিলাকে উদ্ধার করে। জানা যায়, কাউকে বিয়ে করার নামে, কাউকে ভালোবাসার নামে প্রতারিত করে পুনেতে পাচার করা হয়েছিল। কাউকে কাউকে চাকরির লোভ দেখিয়েও পাচার করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।ৎস