স্টাফ রিপোর্টার ॥ মালয়শিয়ার পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৩২ হাজার টাকায় শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেন মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
সকালে রাজধানীর আশকোনা হাজি ক্যাম্পে সরকারিভাবে মালয়শিয়ায় কর্মী পাঠানোর দ্বিতীয় ধাপের ফাইট উদ্বোধন করার সময় মন্ত্রী বলেন, “আমরা মালয়েশিয়াতে জি-টু-জি পদ্ধতিতে সফল হয়েছি। মধ্যপ্রাচ্যেও আমরা আলোচনার শেষ পর্যায়ে আছি।”
“এ আলোচনা শেষ হলে আমরা একই খরচে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি পাঠাতে পারবো।”
সরকার জি-টু-জি পদ্ধতিতে এপ্রিলে মাত্র ৩২ হাজার টাকায় প্রথম ধাপে ১৯৮ জন শ্রমিক পাঠায় মালয়েশিয়ায়।
দীর্ঘ চারমাস পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপে ১৭২ জনের মালয়শিয়া গমনের উদ্বোধন করা হয়।
মঙ্গলবার প্রথম ফাইটে ৯০ জন মালয়শিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং দ্বিতীয় ফাইটটি ৮২ জন শ্রমিক নিয়ে মালয়শিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে বুধবার ।
মালয়শিয়ার অভ্যন্তরীণ কারণে নির্বাচিত শ্রমিকদের যেতে চার মাস বিলম্ব হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।“ওদের জাতীয় নির্বাচন ও সরকার গঠনের কারণে আমাদেরকে চারমাস অপো করতে হয়েছে।”
তিনি বলেন, মালয়শিয়া সরকার বিশ্বের ১১টি দেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে এবং বাংলাদেশ তাদের প্রথম পছন্দ।
মালয়েশিয়ার প্রদেশ সারওয়া বাংলাদেশ থেকে আরো ৫০ হাজার শ্রমিকের চাহিদা আলাদাভাবে দিয়েছে জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, “দু-এক মাসের মধ্যেই এই ৫০ হাজার শ্রমিক পাঠানো শুরু হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের শ্রমিকদের দতা ও গুণের কারণে তারা আমাদেরকে প্রথম পছন্দ করেছে।”
মন্ত্রী জানান, প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ শ্রমিকের তথ্যভাণ্ডার করা হয়েছে। আগামীতে যারাই শ্রমিক পাঠাবে তাদেরকে এই তথ্য ভাণ্ডার থেকেই শ্রমিক নিতে হবে। অন্য কোনো উপায়ে নেয়ার সুযোগ নেই।
মালয়শিয়াতে ৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন, যার মধ্যে ২ লাখ ৬৮ হাজারই অবৈধ বলে জানান মোশাররফ।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা সেখানে অবৈধভাবে রয়েছেন কারণ তাদের অভিবাসন ব্যয় আনেক বেশি ছিল। তবে আগামীতে কোনোভাবেই অভিবাসন ব্যয় ২ মাসের বেতনের বেশি হবে না।
তিনি রিক্রটিং এজেন্সির উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে চাহিদাপত্র নিয়ে আসুন, আমি দুইমাসের মধ্যে সব ব্যবস্থা করবো।”