স্টাফ রিপোর্টার ॥ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বার্ষিকীতে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন নিয়ে ােভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
প্রতি বছর ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হলেও এবার বিলম্বে ২১ আগস্টে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাতৃদুগ্ধ দিবস পালনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে কর্মসূচির অংশে ২১ আগস্টের অনুষ্ঠানমালা দেখে বিব্রতবোধ করেন মন্ত্রী।
নয় বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার জনসমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। অল্পের জন্য বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকের এ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে আওয়ামী লীগ।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির, স্বাস্থ্য সচিব এম এন নিয়াজউদ্দিনসহ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্ট রেসপেক্টিভ ডে। প্রোগ্রাম কে ঠিক করেছে? এ দিন প্রোগ্রাম ঠিক হবে কিনা?’
পরে উপস্থিত কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে জানান, ওসমানী মিলনায়তন ফাঁকা না পাওয়ায় ২১ আগস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ওই দিন সকাল ১০টায় মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তখন ওই দিনের সভার শুরুতে একজন বক্তাকে ২১ আগস্টের ওপর বিশেষ আলোচক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া যাতে গ্রেনেড হামলার বার্ষিকীর দিনটির মর্যাদা নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে নজর রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপন্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক। বিশেষ অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।